বন্ধ স্কুলের চাল ছাড়া কিছুই নেই
করোনায় বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠিান। পাঠদান চালু না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। দীর্ঘ সময় ধরে কেউ আসেন না বিদ্যালয়ে। ফলে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
তেমই একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার শুকনা ছড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির চাল আছে কিন্তু বেড়া নেই। আসবাবপত্র সব চুরি হওয়ায় শুন্যঘর পড়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৮ সালে ২৫০ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে পাহাড় অধ্যুষিত শুকনা ছড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির তৎকালীন জেলা প্রশাসক আলকামা সিদ্দিকী উদ্বোধন করেছিলেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অনেক চেষ্টা তদবির করেও সরকারি করতে পারেননি। সরকার সারাদেশের সবগুলো বেসরকারি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করলেও ওই বিদ্যালয় তালিকায় আসেনি।
রোববার (৩০ মে) সরেজমিনে গেলে কথা হয় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য শুকনাছড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, করোনায় বন্ধ হওয়ার পর থেকে শিক্ষকরা আসেননি বিদ্যালয়ে। বেতন-ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
ওই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন এলাকার জগলু আহমেদ (২০)। তিনি জানান, বিদ্যালয়টি এলাকায় শিক্ষা আলো ছড়াচ্ছিল। করোনায় বন্ধ হওয়ায় ছাত্র-শিক্ষক কেউ আসেননি। সুযোগ পেয়ে অসাধু ব্যক্তিরা বেঞ্চ-চেয়ার-টেবিল চুরি করে নিয়ে গেছে।
প্রধান শিক্ষক শামসুল ইসলাম বলেন, সরকারি করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষক রয়েছেন। করোনাকালিন বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। বিনা বেতনে শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এখন আর কেউ বিদ্যালয়ে আসতে চান না।
জুড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মন্তুষ কুমার দেব নাথ জাগো নিউজকে বলেন, বিদ্যালয়টি আমাদের তালিকাভুক্ত নয়। ফলে দেখার কিছু নেই। আমরা শুধু তাদের সরকারি বই প্রদান করি। এই ধরনের বিদ্যালয়গুলো স্থানীয়ভাবে পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
আব্দুল আজিজ/আরএইচ/এমকেএইচ