ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের পর রামেকে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি | রাজশাহী | প্রকাশিত: ১১:০৩ এএম, ৩০ মে ২০২১

করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশে করোনার ভারতীয় ধরন ধরা পড়ার পর হাসপাতালে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি।

রামেক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৯ মে) সকাল ১০টা থেকে রোববার (৩০ মে) সকাল ১০টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ জন মারা যান। এদের মধ্যে আটজন মারা গেছেন করোনা সংক্রমণ নিয়ে। বাকিদের মৃত্যু হয়েছে করোনার উপসর্গ নিয়ে।

মারা যাওয়াদের মধ্যে সাতজন করোনার নতুন হটস্পট চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে রাজশাহীর দুজন, নওগাঁর দুজন ও নাটোরের একজন। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে এরা হাসপাতালে এসেছিলেন।

রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এতথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে ১২ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে আটজন মারা গেছেন প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণে। সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন অন্য চারজন।

সর্বোচ্চ তিনজন করে মারা গেছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ), ২২, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে। একজন করে মারা গেছেন ৩৯, ২৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে।

উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস আরও বলেন, মৃত্যুর পর সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

রামেক সূত্র জানায়, রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে রামেক হাসপাতালে এসেছেন ২০৯ জন। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ৭৫ জনের। করোনা সংক্রমণের উপসর্গ রয়েছে বাকি ১৩৪ জনের। তারা সবাই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও ১২ জন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই এসেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুর ১২টার পর থেকে শনিবার (২৯ মে) দুপুর ১২টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে ২৪ প্রাণ হারিয়েছেন।

এর মধ্যে ১৫ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে ১১ জনই মারা গেছেন করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে। ফলে করোনায় মৃতের তালিকায় তাদের নাম ওঠেনি বলে জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর।

ফয়সাল আহমেদ/এসআর/জিকেএস