ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মেরিন ড্রাইভে জোয়ারের পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ০১:৫৫ পিএম, ২৬ মে ২০২১

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও ভরা পূর্ণিমায় সমুদ্রে জোয়ারের পানি স্মরণকালকে হার মানিয়েছে। প্রথমবারের মতো বাড়ন্ত জোয়ারের পানির ঢেউ আছড়ে পড়েছে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে।

পর্যটন স্পট হিমছড়ির চেঞ্জিং ভবনের পেছনের মাটি সরে যাচ্ছে। ক্ষতির মুখে পড়ছে স্থানীয় বনবিট অফিসও। ঢেউয়ের আঘাতে মাটি সরে যাচ্ছে সাগরতীরের কিছু কিছু এলাকায়। এছাড়া জোয়ারের পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বুধবার (২৬ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর কুমার সাহা।

jagonews24

তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে বিগত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেছি। কিন্তু ইয়াসের মতো বাড়ন্ত পানি মেরিন ড্রাইভের এত উঁচুতে আসেনি।’

ইনানীর চিংড়ি হ্যাচারি জোনের মেরি গোল্ড ও রাইশা হ্যাচারির মালিক ও প্রধান টেকনিশিয়ান হারুন অর রশিদ জানান, বুধবার (২৬ মে) সকাল ৯টা থেকে সাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেড়েছে। বইছে ঝড়ো হাওয়াও। ঢেউ আছড়ে কিছু কিছু এলাকায় মেরিন ড্রাইভে উঠে আসছে পানি। পানিতে প্রায় ডুবে গেছে নৌবাহিনীর নির্মিতব্য জেটিঘাট।

রামুর পেঁচার দ্বীপ এলাকার মারমেইড ইকো রিসোর্টের ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘সকাল থেকে শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ৯ টার দিকে আসা জোয়োরের পানি রিসোর্টের পুরো এলাকা তলিয়ে ফেলেছে। অনেক কটেজের দরজায় এসে গেছে পানি। বিগত সময়ে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি আমরা।’

jagonews24

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন, ‘খবর পেয়েছি কক্সবাজারের দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভের তীরে আছড়ে পড়ছে জোয়ারের পানি। হিমছড়ি এলাকায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। অন্য এলাকায় সতর্ক দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া আছে। জোয়ারের পানি যেন সড়কটির কোথাও স্থায়ী ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।’

টেকনাফ-উখিয়ার সীমান্ত এলাকা জালিয়াপালংয়ের মনখালীর বাসিন্দা ওয়াহিদ রুবেল জানান, টেকনাফ অংশের মেরিন ড্রাইভেও জোয়ারের পানি আছড়ে পড়ছে। পুরো অংশের খাল দিয়ে জোয়ারের পানি সড়কের ভেতরের অংশে ঢুকে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে বেশ কিছু বাড়িও।

সায়ীদ আলমগীর/এসজে/এমকেএইচ