কুমিল্লায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা
কুমিল্লায় মনি বেগম নামের এক গৃহবধূর শরীরে কেরােসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা করেছেন স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়নের দলকুইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার পর থেকে তার স্বামী ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ভুলুসহ অন্যান্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। ওই গৃহবধূর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়নের দলকুইয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের সঙ্গে তিন বছর আগে একই উপজেলার পালপাড়া গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ে সুমি বেগমের বিয়ে হয়। তাদের দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সুমির পরিবারের সদস্যরা জানান, বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য তাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ চলচিল।
বুধবার রাতে মনির শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট এবং পরে রাত ২টার দিকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করান। তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে ডাক্তাররা জানিয়ছেন।
মনি বেগমের দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মির্জা মু. তাইয়েবুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, ওই নারীর শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেকের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
মো. কামাল উদ্দিন/এমজেড/এমএস