ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মাদারীপুরে সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেলো যুবকের

প্রকাশিত: ১১:৫২ এএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৫

মাদারীপুরের শিবচরে জুয়া খেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহপাঠী বন্ধুদের ধারালো ছুরির আঘাতে প্রাণ হারালো তোফাজ্জেল মাদবর (২১)। চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর বাদশা কান্দি গ্রামে রোববার রাত ৮টায় তোফাজ্জেল মাদবর স্থানীয় বাজারে সৈয়দ মাদবরের দোকানে বসে চা খাচ্ছিল। ওই সময় হাসমত, শামীম ও কহিনূরসহ ৬-৭ জন তোফাজ্জেলের সঙ্গে জুয়া খেলার হারজিত নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু করে। এক পর্যায়ে সহপাঠী বন্ধুরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ওপর চাপাতি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে  কুপিয়ে জখম করে।

পরে সন্ত্রাসীরা এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তোফাজ্জলকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করে। পরে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে টানা ৪দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার দুপুরে তোফাজ্জল মারা যায়। তার মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পরিবারে শোকের মাতম শুরু হয়। নিহত তোফাজ্জল মাদবর দত্তপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর বাদশা কান্দি গ্রামের মালেক মাদবরের ছেলে।   

প্রতিবেশী খলিল বলেন, ঘটনার সময় আমি অপর এক চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। এই সময় ৬/৭ জন যুবক দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তোফাজ্জলের ওপর উপর্যুপরি হামলা চালায়।

নিহতর মা মতিয়া বেগম বলেন, আমার ছেলেকে তুচ্ছ একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা খুন করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

শিবচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ জাকির হোসেন বলেন, ঘটনার পর পরই শিবচর থানা পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সন্ত্রাসীরা ওই সময় থেকেই এলাকা ত্যাগ করেছে। আমরা দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছি। এই ব্যাপারে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৪/৫ দিন আগে সাদিপুর এলাকায় জুয়া খেলার কারণে হাসমত, শামীম ও কোহিনূরকে পুলিশ আটক করে। তোফাজ্জল মাদবর তাদের পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে এই মিথ্যা অভিযোগে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে পারিবারিক সূত্র দাবি করছে।
 
নাসিরুল হক/এসএস/আরআইপি