ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

করোনা আক্রান্তকে মৃত দেখিয়ে রিপোর্ট, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শোকজ

জেলা প্রতিনিধি | চুয়াডাঙ্গা | প্রকাশিত: ১১:০৩ এএম, ২১ মে ২০২১

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃত বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে পাঠানো করোনা আক্রান্ত সেই ব্যক্তি জীবিত আছেন। এ বিষয়ে ভুল রিপোর্ট প্রদান করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ শাহাজাহান আলীকে শোকজ করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর গ্রামের মৃত কলিম উদ্দীন সর্দারের ছেলে ওসমান গনি (৫৮) বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছিলেন। ১১ মে তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১২ মে পরীক্ষার ফলাফলে তার করোনা শনাক্ত হন। পরে ঈদের আগের দিন নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থাকাকালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে রিপোর্ট পাঠান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ শাহাজাহান আলী। স্বাস্থ্য বিভাগ সে মোতাবেক (১৮ মে) জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জন হয়েছে বলে জানায়।

জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওসমান গনির দেহে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন।

ওসমান গনি বলেন, ‘আমি এখন সুস্থ আছি। দু-একদিনের মধ্যেই হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে যাব।’

ওসমান গনির ছেলে সাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমি বাবার সঙ্গে হাসপাতালে থাকাকালে বাবার মৃত্যু সংবাদ শুনে হতবাক হয়ে পড়ি। বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগকে জানাই।’

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামান বলেন, ‘এটি অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ভুল। হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ শাহাজাহান আলী যাচাই-বাছাই না করেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি জানার পর রিপোর্টটি সংশোধন করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ শাহাজাহান আলীকে শোকজ করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান বলেন, ভুল রিপোর্টটি ওইদিনই স্বাস্থ্য বিভাগের নজরে আসার পর তথ্যসূচি সংশোধন করে ঢাকাসহ সব জায়গায় পাঠানো হয়েছে।

সালাউদ্দীন কাজল/এসজে/এমএস