ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নীলফামারীতে দুই হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৯:১৯ পিএম, ০১ ডিসেম্বর ২০১৫

নীলফামারীতে স্ত্রী সন্ধ্যা রাণী রায়কে হত্যার দায়ে স্বামী বিপুল চন্দ্র রায়ের (৩০) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ হয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদুল কবীর ওই আদেশ প্রদান করেন।

অপর একটি মামলায় কৃষক সফিয়ার রহমানকে হত্যার দায়ে পাঁচজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহবুবুল আলম।

মঙ্গলবার বিকেলে পৃথক ওই দুই আদালতে এ রায় প্রদান করা হয়। কৃষক হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর গ্রামের মকিম উদ্দীনের ছেলে বাবুল (৩৮), তার বড় ভাই মোসলেম উদ্দীন (৪২), চাচাতো ভাই দুলাল হোসেন (৩৭), আব্দুল মজিদ (৪০) ও ভাতিজা (রায়হানের ছেলে) সাইফুল ইসলাম (২৫)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, ২০০৯ সালের ২০ এপ্রিল যৌতুকের দাবিতে জেলার ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান গ্রামের গৃহবধূ এক সন্তানের জননী সন্ধ্যা রাণী রায়কে পিটিয়ে হত্যা করে তার স্বামী বিপুল চন্দ্র রায়। হত্যার পর নিহতের শরীরে বিদ্যুতের তার জরিয়ে রেখে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টায় থানায় একটি অপমৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেন বিপুল। এ সময় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করায়।

ওই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং পুলিশ তদন্তে সন্ধ্যা রাণী রায়কে হত্যার বিষটি নিশ্চিত হলে ডিমলা থানার উপ-পরিদর্শক এসএম মহিউদ্দীন বাদি হয়ে ওই বছরের ৩ জুন বিপুলকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি এবং বিপুলের স্বীকারোক্তিতে হত্যার বিষয়টি প্রমাণিত হলে আদালতের বিচারক ওই আদেশ প্রদান করেন। ২০০৭ সালের আগস্ট মাসে ওই দম্পত্তির বিয়ে হয়। সন্ধ্যা রাণী জেলার জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের পশ্চিমগড় ধর্মপাল মাঝাপাড়া গ্রামের অমূল্য চন্দ্র রায়ের মেয়ে।

অপরদিকে, ২০০৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক সফিয়ার রহমানকে পিটিয়ে আহত করেন তার প্রতিপক্ষরা। এ সময় জেলার সৈয়দপুর উপজেলার খাতা মধুপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে পরদিন ২৪ জুন সৈয়দপুর থানায় ১৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার শুনানিতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, প্রত্যেকের ১০ হাজার করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয়মাসের করাদণ্ড প্রদান করেন আদালতের বিচারক। মামলার অপর ১৪ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।

জাহেদুল ইসলাম/বিএ