ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মংডুতে বিজিবি-বিজিপি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ০৬:৩৫ পিএম, ০১ ডিসেম্বর ২০১৫

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর কর্মকর্তা পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার মিয়ানমারের মংডুর এক্সিট অ্যান্ড এন্ট্রি পয়েন্টে সকাল ১০টায় বৈঠক শুরু হয়ে দুপুর ২টায় শেষ হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবির ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম বিজিবি দক্ষিণ জোনের রিজিয়ান কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল করিম।

অপরদিকে মিয়ানমারের পক্ষে বিজিপির ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন বিজিপির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থিন কো কো। বিজিবি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় টেকনাফ স্থলবন্দর জেটিঘাট দিয়ে মিয়ানমার প্রবেশ করে। প্রতিনিধিদল সন্ধা ৬টার দিকে মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরত আসে।

এ সময় চট্টগ্রামস্থ বিজিবির দক্ষিণ জোনের রিজিয়ান কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল করিম জানান, ইয়াবা, মানবপাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, মিয়ানমারে আটক অভিবাসীদের ফেরতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বিরাজমান ও উদ্বুদ্ধ সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার একমত পোষণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মিয়ানমার থেকে এ পর্যন্ত ৭০৭ জন অভিবাসীকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আরও ৪৮ জন অভিবাসীকে ঘুনধুম সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরত আনা হবে। তাছাড়া আরও কিছু অভিবাসী আটক রয়েছে তাদের যাচাই-বাচাই করে ফেরত আনার ব্যবস্থা করবেন। তবে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সে দেশের কিছু সন্ত্রাসী বাংলাদেশে অবস্থানের কথা বলা হলে এ ধরনের কোনো সন্ত্রাসী আমাদের দেশে নেই এবং থাকার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দেয়া হয় না। যদি সন্ত্রাসীদের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য তাকে তাহলে বিজিবিকে অবহিত করবেন। এ ধরনের তথ্য পাওয়া গেলে প্রয়োজনে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীরা একযোগে অভিযান পরিচালনা করবেন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে বিজিবি-বিজিপির মধ্যে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সাপ্তাহে বাংলাদেশে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া প্রতিমাসে একবার করে দু’দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে জানিয়েছেন।

সাইদ আলমগীর/বিএ