অসহায় শরীফাদের ঈদ উপহার দিচ্ছে যুবলীগ
শরীফা বেগম চার ও আট বছর বয়সী দুই কন্যাসন্তান এবং স্বামীকে নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া এলাকায় থাকেন বাসা ভাড়া নিয়ে। একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামী একটি ফার্নিচারের দোকানে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করতেন। করোনা মহামারিতে দুই মাস আগে তার ওই চাকরি চলে যায়। পরে তিনি অটোরিকশা চালিয়ে কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছিলেন। ঈদ সামনে এলে সন্তান ও মা বোনের চাহিদার কথা শুনে হতাশ হয়ে যান স্বামী। পরিবার রেখে চলে যান গ্রামের বাড়ি জামালপুরে।
মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড স্কুল মাঠে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান রাসেল সরকার এলাকার দুস্থ, অসহায় ও কর্মহীন লোকদের মাঝে ঈদসামগ্রী প্রদান করেন। সেখানে কথা হয় অসহায় নারী শরীফা বেগমের সঙ্গে।
শরীফা বেগম জানান, সোমবার তার স্বামী দুই সন্তান ও তাকে রেখে গ্রামের বাড়ি জামালপুর চলে যান তার মা-বাবা, ভাই-বোনদের সঙ্গে ঈদ করতে। ভাড়ার টাকা নেই বিধায় দুই সন্তানসহ তাকে রেখে যান গাজীপুরের ভাড়া বাসায়। ঈদ করার জন্য পাঁচশত টাকা হাতে দিয়ে গেছেন স্বামী। দুই সন্তান ঈদের দিন পোলাও মাংস খাবে বলে টাকাটা কাছে রেখেছিলেন। আজ তিনশত টাকা দিয়ে দুই মেয়েকে ফুটপাত থেকে দুটি জামা কিনে দিয়েছেন। এখন সন্তানদের খাওয়াবেন কী, তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন।
মঙ্গলবার শরীফা বেগম জানতে পারেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। তিনিও অন্যদের মতো তিন প্যাকেট খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন, যা দিয়ে অন্তত ১০ দিন তার চলে যাবে। এসব খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল সাধারণ চাল, পোলাওয়ের চাল, তেল, চিনি, লবণ, দুধ, সেমাই, আলু ইত্যাদি।
কামরুল আহসান সরকার রাসেল জানান, করোনায় গাজীপুরে বিপুলসংখ্যক কর্মহীন, অসহায়, দুস্থ, দরিদ্র লোকজন তীব্র অর্থনৈতিক ও খাদ্য সংকটে রয়েছেন। তাদের কথা চিন্তা করে ঈদকে সামনে রেখে আড়াই হাজার মানুষকে ঈদ উপহারসামগ্রী দেয়া হয়েছে। এলাকার কোনো কর্মহীন, অসহায় লোক যেন খাবারের জন্য কষ্ট না করেন সেজন্য এ খাদ্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
মো. আমিনুল ইসলাম/এসআর/জিকেএস