খুলনায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বিজিবি মোতায়েন সোমবার

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের খুলনা বিভাগের বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোতে রাখা হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সোমবার (১০ মে) থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হবে।

রোববার (৯ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন। খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে ২৬ এপ্রিল থেকে আগত যাত্রীদের খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা সিভিল সার্জনের সহায়তায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা নাগরিকদের দেখাশোনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন জেলার এসব কোয়ারেন্টাই সেন্টারগুলোতে কাল থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হবে।’

ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘২৬ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ হাজার ৫৬৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক এসেছেন। তাদের প্রথমত যশোরের বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়। পরে যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় পর্যায়ক্রমে খুলনা, সাতক্ষীরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা সুস্থ আছেন। যাদের করোনা পজিটিভ রয়েছে তাদের সংক্রমণজনিত জটিলতা নেই। তবে সংক্রমিত ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ আলাদা করোনা ইউনিটে রাখা হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন কোনো সংক্রমিত যাত্রীকে আনা হবে না। আগামী ১১ মে গত ২৬ এপ্রিল আগত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন শেষ হবে।’

উল্লেখ্য, যশোর জেলায় ১ হাজার ১৪০ জন, খুলনায় ৫২১ জন, নড়াইল জেলায় ৯৯ জন, ঝিনাইদহে একশত ৬৩ জন, সাতক্ষীরায় তিনশত ৩০ জন এবং মাগুরাতে ৫০ জন যাত্রী কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সুবাস চন্দ্র সাহা, অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম, খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মো. মাহবুব আলম সোহাগসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা।

আলমগীর হান্নান/এসজে/এমকেএইচ