কুমিল্লা থেকে জেলায় জেলায় যাচ্ছে বাস, তোয়াক্কা নেই স্বাস্থ্যবিধির
করোনা পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে কুমিল্লার পরিবহন চালকদের তা অমান্য করে এক জেলা থেকে অন্য জেলা যেতে দেখা গেছে।
বাস টার্মিনালগুলোতে শারীরিক দূরত্ব, মুখে মাস্ক পরে বের হওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাগুলো মানার ক্ষেত্রে পরিবহন শ্রমিকদের অবহেলা দেখা গেছে। অধিকাংশ স্টাফদের মুখে নেই মাস্ক। দুই সিটে একজন যাত্রী বসার কথা থাকলেও মানা হয়নি সে নির্দেশনাও। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলতে দেখা গেছে গণপরিবহন। তবে প্রথম দিনে গণপরিবহন কম থাকায় যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) কুমিল্লা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল জাঙ্গালিয়া ও পদুর বাজার বিশ্বরোডে গিয়ে দেখা যায়, অনেক যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে যেসব যাত্রী দল বেধে অপেক্ষা করছে তাদের বেশির ভাগেরই মুখে মাস্ক নেই। মাস্কবিহীন অনেক যাত্রী দেখা গেছে পরিবহন গুলোতেও।
যাত্রীদের অভিযোগ, ২ থেকে ৩ গুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। মো. আবু ইউসুফ নামে এক যাত্রী জানান, কুমিল্লা থেকে ফেনীর ভাড়া ছিল ৫০ টাকা। লকডাউনের দোহায় দিয়ে যমুনা বাস নিচ্ছে ১২০ টাকা। বাধ্য হয়ে আমাদের অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে।
পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় দেখা গেছে মাইক্রোবাসের আন্তঃজেলা সার্ভিস। চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে এসব গাড়ি যাত্রী নিচ্ছে গাদাগাদি করে। আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। বিশ্বরোড থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত প্রতি যাত্রীকে দিতে হচ্ছে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা। এ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক যাত্রী।
শাহীন আলম নামে চট্টগ্রামগামী এক যাত্রী বলেন, ‘দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করে কোনো বাস পাইনি। বাধ্য হয়ে মাইক্রোবাসে যেতে হবে। তবে তারা ভাড়া নিচ্ছে প্রায় তিনগুণ। জনপ্রতি ২০০ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা।’
মাস্কবিহীন থাকার কারণ জানতে চাইলে বাস যাত্রী হৃদয়, জিহাদ, মাহমুদ ও মেহেদী জানান, কুমিল্লায় করোনার প্রভাব নেই। তাই মাস্কের প্রয়োজন মনে করেননি তারা। আল্লাহর উপর ভরসা রেখেই তারা চলাচল করছেন।
নোয়াখালীগামী উপকুল পরিবহনের স্টাফ সাইফ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের বাস নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি পর্যন্ত যাচ্ছে।’
এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে সমস্যা হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সোনাইমুড়ির ওসির সঙ্গে কন্ট্রাক্ট হয়েছে। তিনিই আমাদের অনুমতি দিয়েছেন।’
এসজে/জিকেএস