ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

লিচু রক্ষায় বেড়েছে কারেন্ট জালের ব্যবহার, মরছে পাখি

জেলা প্রতিনিধি | মেহেরপুর | প্রকাশিত: ০৬:৩২ পিএম, ০৪ মে ২০২১

মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থানে মৌসুমি ফল লিচুর সুরক্ষায় কারেন্ট জালের ব্যবহার বেড়েছে। এতে করে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ওই জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। প্রশাসনের নীরবতায় বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা অবাধে পাখি শিকার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, লিচু গাছের ওপর কারেন্ট জাল বিছিয়ে রাখা হয়েছে। কোথাও কোথাও গোটা লিচু বাগানের চারদিকে কারেন্ট জাল টানানো আছে। বিভিন্ন বাগানে টানানো জালে জীবিত ও মৃত পাখি ঝুলছে। আবার কোথাও কোথাও পড়ে আছে পাখির মরদেহ। কোনো কোনো বাগান মালিক পাখি শিকার করে তা রান্না করেও খাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।

মেহেরপুর বার্ডস ক্লাবের সদস্য ও পাখি সংরক্ষণকারী মাজেদুল হক মানিক বলেন, ‘পাখি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে। কিছু কিছু পাখি অর্থাৎ নিশাচর জাতীয় পাখি বিষাক্ত সাপ ও ইঁদুর খেয়ে ফসল রক্ষা করে। ফসলের ওপর থেকে বিরূপ প্রভাব ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে পাখি রক্ষায় প্রশাসনকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।’

মেহেরপুর গাংনীর ভিটাপাড়ার মাঠে লিচু বাগান মালিক হেলাল জানান, পাখি শিকারের কোনো উদ্দেশ্য নয়, পাখিরা বাগানের ফল খেয়ে ও নষ্ট করে। এদের কবল থেকে ফল রক্ষার্থে কারেন্ট জাল ব্যবহার করা হয়েছে।

jagonews24

পাখি শিকার একটি জঘন্যতম অপরাধ এটি স্বীকার করে গাছ থেকে জাল সরিয়ে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

হেমায়েতপুর লিচু বাগানের মালিক আনারুল ইসলাম জানান, তিনি জাল টানিয়েছিলেন কিন্তু কয়েকটি বাদুড় মারা যাবার পর জাল খুলে নিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, ক্ষুধার্ত পাখিরা শুধু নয়, অনেক নিরীহ পাখি যারা তপ্ত রোদ থেকে বাঁচার জন্য ছায়া খোঁজে তারাও জালে আটকা পড়ে। তিনি কোনো পাখি মেরে খাননি।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মনসুর আলম বলেন, ‘পাখি শিকার জঘন্যতম অপরাধ। সরেজমিনে গিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আসিফ ইকবাল/এসজে/জেআইএম