‘শ্রমিকরা করোনায় মরতে রাজি, তারপরও পরিবার নিয়ে না খেয়ে নয়’
‘শ্রমিকরা করোনায় মরতে রাজি, তারপরও পরিবার নিয়ে না খেয়ে নয়’ এভাবেই শ্রমিকদের মানবেতর জীবনের কথা তুলে ধরেন রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে শিরোইল বাস টারমিনাল এলাকায় বিধিনিষেধ ভেঙে যেকোনো মূল্যে রাজশাহী থেকে দূরপাল্লার বাস চালানোর ঘোষণা দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আগামি ৬ মে থেকে যেকোনো মূল্যে বাস চলবে। কোনো বাধা মানা হবে না। যেখানে বাধা দেয়া হবে সেখানেই ব্যারিকেড গড়ে তোলা হবে। শ্রমিকরা যদি রাস্তায় নেমে পড়েন তবে আমাদের কিছু করার থাকবে না। বাধা দিলে টারমিনালের সব বাস রাস্তার ওপর রেখে পুরোপুরি দেশকে লকডাউন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, আন্তঃজেলা বাস যদি চলে তাহলে দূরপাল্লার বাস চললে সমস্যা কোথায়? ট্রেন চললে বাস চলতে পারবে না কেন? ঢাকা থেকে একজন যাত্রী রাজশাহীতে আসতে চাইলে তাকে কয়টি জেলা পার হতে হয় সে হিসাব কি আছে তাদের কাছে?
শ্রমিকদের দুঃখের বিষয়ে মটর শ্রমিক ইউনিয়নের এ নেতা জানান, ‘প্রতিদিন বাস চললে শ্রমিকেরা দিন প্রতি ইউনিয়ন থেকে ৭০-৮০ টাকা করে পেতেন। এতে তাদের ওষুধের খরচ উঠে আসত। বাস বন্ধ, টাকাও নেই। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ওষুধ না পেয়ে চারজন শ্রমিক মারা গেছে।’
সরকারি প্রণোদনা পর্যাপ্ত নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সামনে ঈদ আসছে। এছাড়াও শ্রমিকদের সন্তানদের লেখাপড়া, খাওয়া, বাবা-মার ওষুধের খরচ প্রভৃতি আছে। সরকার থেকে শুধু চাল-ডাল দিলে হবে না। বাকিগুলো কে দিবে কোথায় থেকে আসবে? পরিবহণ চলবে নাহলে কঠোর আন্দোলন হবে।’
ফয়সাল আহমেদ/এসএমএম/এএসএম