কুষ্টিয়ায় আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩ জন আহত
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) তিনজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘরমধুয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন-বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ফরিদ, শালঘরমধুয়া গ্রামের মৃত চাঁদ আলীর ছেলে ফারুক (৩৮) ও আতিয়ার রহমানের ছেলে রাশিদুল হককে (৩৫)। তাদের কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রভাষক আলী ও তোফাজ্জেল গ্রুপের সঙ্গে জাফর ও লিটন গ্রুপের বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জের ধরে গত ৪ এপ্রিল জাফরের সমর্থক আরিফ তোফাজ্জেলের এলাকায় রোগী দেখতে যান। এসময় চোর সন্দেহে আরিফকে বেধড়ক মারপিট করে প্রতিপক্ষরা। এনিয়ে দুইদিন পর গত ৬ এপ্রিল উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে জাফর গ্রুপের মুকুল ও তোফাজ্জেল গ্রুপের ওয়াদুদ আহত হন। এছাড়া উভয়পক্ষের ১৫ থেকে ২০টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিরা সবাই বর্তমানে জামিনে জামিনে রয়েছেন।
আসামিরা সবাই জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসার পর থেকেই দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। বুধবার সকালে তোফাজ্জেল গ্রুপের সমর্থকরা জাফর গ্রুপের ফারুক, রাশিদুলসহ অন্যান্যদের বাড়িঘর ভাঙচুর চালালে তারা বাধা দেন। এনিয়ে উভয়পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন এবং শতাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিব হাসান জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে থানায় দুইটি মামলা রয়েছে। বুধবার সকালে হঠাৎ দুইপক্ষ ঘরবাড়ি ভাঙচুর শুরু করে এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পুলিশসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৯ জনকে আটক করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আল-মামুন সাগর/এসআর/জেআইএম