ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিকেলে মারামারি, রাতে ঘর পুড়ে ছাই

জেলা প্রতিনিধি | গোপালগঞ্জ | প্রকাশিত: ১০:০২ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০২১

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গভীর রাতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে একটি বসতঘর। শনিবার রাত ২টার দিকে উপজেলার বর্নি উত্তরপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেন মোল্লার ছেলে কাবুল মোল্লার বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রাতেই ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীরা জানান, বিকেলে বর্নি বাজারে তিনু মোল্লার ছেলে রানার সাথে কাবুল মোল্লার ভাই সাহাবুলের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যাবয়ে সাহাবুলকে রানা চড় মারেন। পরে স্থানীয় মুরুব্বিরা তা মিটিয়ে দেন। কিন্তু সাহাবুলদের বাড়ির সামনে দিয়ে ফেরার পথে রানাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন সাহাবুলরা। আহত রানাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।

পরে গভীর রাতে কে বা কারা কাবুল মোল্লার একটি দোচালা টিনের ঘরে আগুন লাগায়। কাবুল মোল্লার বোন নীলা আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে এলাকাবাসী ছুটে আসেন।

টুঙ্গিপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন প্রতিপক্ষ নাকি নিজেরাই দিয়েছে এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী কাবুল মোল্লা বলেন, আমার পরিবার গত ৬ মাস এ ঘরে বাস করত না। আমরা নহড়িরচর গ্রামে বাস করতাম। কারা রাতের অন্ধকারে আমার ঘরে আগুন দিয়েছে আমরা তাদের দেখিনি। আমি এ ঘটনার সুবিচার চাই।

Fire-pic-(2).jpg

স্থানীয় সমাজপতি রমজান আলী মাস্টার বলেন, তাদের মধ্যে পূর্বের জমিজমা নিয়ে বিবাদ চলে আসছিল, গতকালও মারামারি হয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেরাই তাদের ঘরে আগুন দিয়েছে।

স্থানীয় বর্নি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাদশা বলেন, মারামারি হতে পারে, তার জন্য এমন ঘটনা কাম্য নয়। যারাই এ কাজ করে থাকুক এটা জঘন্য কাজ। এদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

টুঙ্গিপাড়া ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, রাত ২টা ১৫ মিনিটে ৯৯৯-এ কল পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। একটি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। অন্য ঘরগুলো আমরা রক্ষা করতে পেরেছি। এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি এএফএম নাসিম বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ মর্মে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। অধিকতর তদন্ত করে দেখা হবে। তবে তা মামলার স্বার্থে এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

এফএ/এমএস