স্ত্রীর পর স্বামীর লাশও দাফন করল টিম খোরশেদ
গত বছর করেছে করোনায় মারা যাওয়া স্ত্রীর লাশ দাফন। আর এবার একই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী স্বামীর লাশ দাফন করল টিম খোরশেদ।
বুধবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার বাসিন্দা লাল মিয়া (৬৮) করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় তার পরিবার ‘টিম খোরশেদ’কে লাশ দাফনের আহ্বান জানান।
খবর পেয়ে কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তার টিম বুধবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে মরহুমের গোসল ও জানাজা সম্পন্ন করে ফজরের নামাজের পর সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি কবরস্থানে লাশ দাফন করেন।
এ সময় কাউন্সিলর খোরশেদ ও তার টিমের হাফেজ শিব্বির, হাফেজ রিয়াদ, রানা, নাহিদ, কামরুজ্জামান, নাহিদ, শহীদ, আশরাফুল, নীরব, সুমন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর লাল মিয়ার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর তার লাশও দাফন করে টিম খোরশেদ।
এ নিয়ে মোট ১৯০ জন করোনায় মৃত মানুষের মরদেহ দাফন ও সৎকার করল টিম খোরশেদ। এর মধ্যে শুধু সিদ্ধিরগঞ্জে ১৩টি মরদেহ দাফন করল টিম খোরশেদ।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের মরদেহ দাফন বা সৎকারে ভয়ে যখন স্বজন ও প্রতিবেশীরাও এগিয়ে আসেননি তখন এগিয়ে আসেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। সহযোগীদের নিয়ে গঠন করেন ‘টিম খোরশেদ’। সারাদেশে আলোচিত খোরশেদ পান ‘করোনা বীর’ উপাধিও।
এস কে শাওন/এফএ/এমকেএইচ