স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্র নিয়ে হামলা, নারীসহ ৩ রোগী আহত
বরিশালের মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নারীসহ তিন রোগীর ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ সময় হাসপাতালে থাকা কয়েকজন দর্শনার্থীকেও মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের খালাসীরচর গ্রামের সেকান্দার বেপারীর ছেলে এমদাদুল বেপারী, ভাই ইউনুছ বেপারী ও তাদের স্বজন মোকলেছ বেপারীর স্ত্রী শিফা।তারা হসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত সেকান্দার বেপারী জানান, একই এলাকার আলতাফ বেপারীর সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার বৈঠক শেষে মাতব্বররা সীমানা নির্ধারণ শুরু করেন। সীমানা পিলার স্থাপনের সময় আলতাফ বেপারী ও তার ছেলে রাকিব বেপারীর নেতৃত্বে তাদের সহযোগীরা লাঠি সোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনি (সেকান্দার বেপারী) ও তার ছেলে এমদাদুল এবং তার স্বজন ইউনুছ ও শিফা বেগম আহত হন। স্থানীয়রা তাদের মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে পুনরায় রাকিব বেপারী ও তার লোকজন রামদা ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এ সময় তাদের ধারালো দায়ের আঘাতে ছেলে এমদাদুলের হাতের রগ কেটে যায়। তাদের লাঠির আঘাতে তিনি ও শিফা বেগম আহত হন।
মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইয়েতুর রহমান জানান, জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় আহত কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হতে আসলে জরুরি বিভাগে থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। হামলার কারণে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও সেবিকারা অতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান জানান, হাসপাতালে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশ যাওয়ার আগে হামলাকরীরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আহতদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
সাইফ আমীন/এএইচ/জেআইএম