থমথমে কোম্পানীগঞ্জে অতিরিক্ত র্যাব-পুলিশ মোতায়েন
বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের বিবদমান সংহিতার পর উপজেলা সদর বসুরহাটে অতিরিক্ত র্যাব-পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) বসুরহাটের পৌরভবন, বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর, বাসস্ট্যান্ড, রূপালী চত্ত্বর, শহীদ মিনার, উপজেলা গেটসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
লকডাউনের মধ্যে বাজারে লোকজন কম থাকলেও সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদসহ বিভিন্ন কৈফিয়ত দিয়ে পুলিশ-র্যাবের চেক পোস্ট পার হতে হচ্ছে।
বসুরহাট পৌরসভা ভবনের তিন তলায় বেশ কয়েকজন অনুসারী নিয়ে অবস্থান করছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। সেই ভবনের অনেকগুলো ফটকের গেটে তালা লাগিয়ে মূল ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছেন। কাদের মির্জার পরিবারের লোক ছাড়া তেমন কাউকে সেখানে যেতে দেয়া হচ্ছে না।
সকালের দিকে বসুরহাট বাজারে সীমিত আকারে কাঁচাবাজার বসলেও দুপুরের দিকে ওষুধ আর কিছু মুদি দোকান ছাড়া সব বন্ধ রয়েছে। দূরপাল্লার ভারী কোনো যানবাহন না চললেও কিছু সংখ্যাক ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা নিতে আসা আবদুল হালিম বলেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকা। পুলিশ, র্যাব ও অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন ছাড়া কিছুই শোনা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতির সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর জাগো নিউজকে বলেন, কোম্পানীগঞ্জের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একজন ডেপুটি অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টের (ডিএডি) নেতৃত্বে র্যাব-১১ এর ১৬ সদস্য রয়েছে। র্যাবের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করারও প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্যদিকে কোম্পাণীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জাগো নিউজকে বলেন, দুইজন এএসপির নেতৃত্বে ৭০ অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য রয়েছে। এছাড়া থানার অফিসার-ফোর্সসহ ৬০ নিয়মিত পুলিশ সদস্যও পালাক্রমে ডিউটি করছে।
এএইচ/এমকেএইচ