জোটেনি সরকারি গাড়ি, রিকশায় করেই অফিস করেন হাসপাতালের পরিচালক
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে হাসপাতালের পরিচালকের জন্য কোনো যানবাহন বরাদ্দ দেয়া হয়নি। একই সময়ে প্রতিষ্ঠা পাওয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের জন্য নিজস্ব গাড়ি থাকলেও বঞ্চিত থাকছেন এ হাসপাতালের পরিচালক।
এ পদে এখন পর্যন্ত মোট ১০ জন পরিচালক দায়িত্ব পালন করেছেন কিন্তু কেউই পরিচালকের জন্য বরাদ্দকৃত গাড়ি পাননি। কেউ কেউ ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাচল করলেও যাদের নিজস্ব গাড়ি নেই তারা অটোরিকশা, সিএনজি ও বাসে করে যাতায়াত করে থাকেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ আগস্ট গাজীপুর সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নিত হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর হাসপাতালটি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামে নামকরণ করা হয়।
পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর হাসপাতালটির পরিচালক পদ সৃষ্টি করা হয়। পরিচালকের পদায়ন হয় ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল। হাসপাতালটির প্রথম পরিচালক হন ডা. এটিএম মিজানুর রহমান। তারপর ৯ জন পরিচালক এ পদে পদায়ন হলেও কারো ভাগ্যে জোটেনি সরকারি একটি গাড়ি।
হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক ডা. মো. হাফিজ উদ্দিন জানান, পরিচালকের জন্য কোনো গাড়ির বরাদ্দ না পাওয়ায় তিনি অটোরিকশা, সিএনজি, বাসে করে যাতায়াত করে থাকেন।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালটিতে চারটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। পরিচালকের জন্য একটি জিপ গাড়ি, মালামাল পরিবহনের জন্য দুইটি পিকআপ, স্টাফ পরিবহনের জন্য একটি মাইক্রোবাসের চাহিদা দিয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয় পরিচালকের পদ সৃষ্টির পর থেকেই। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী এসব গাড়ি এখনও পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফাইজ উদ্দিন ফয়েজ জানান, ২০২০ সালের ৮ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ অধিশাখা-৬ এর যুগ্ম সচিব মো. মাহফুজুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোভিট-১৯ এর কারণে সকল প্রকার সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার নতুন/প্রতিস্থাপক হিসেবে যানবাহন ক্রয় বন্ধ ঘোষণা করেন। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন শিগগিরই হয়ত পরিচালকের জন্য জিপ গাড়িসহ হাসপাতালের জন্য চাওয়া অন্য যানবাহনগুলো পাওয়া যাবে।
আমিনুল ইসলাম/এফএ/এমএস