এলাকার হাঁস-মুরগি রক্ষায় ‘চোর’ বনবিড়াল আটক
বনবিড়ালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। প্রতিদিন রাতে এসে হাঁস-মুরগি নিয়ে যাচ্ছিল বনবিড়াল। তবে বিড়ালটিকে কিছুতেই ধরতে পারছিলেন না। এবার আর শেষ রক্ষা হলো না তার। হাঁস-মুরগি রাখার জায়গায় ফাঁদ পেতে তাকে ধরে ফেলেছেন এলাকার এক যুবক।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিল পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে বনবিড়ালটিকে ধরার ব্যবস্থা করেন স্থানীয় একরামুল নামের এক যুবক।
স্থানীয়রা জানান, বনবিড়ালটি দীর্ঘদিন ধরে রাতে গ্রামের অনেকের বাড়ির হাঁস-মুরগি ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। এমনকি ছাগলকেও কামড় দিয়ে আহত করেছে সে। এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত ধাওয়া করেও ধরতে পারছিলেন না। পরে ফাঁদ পেতে বিড়ালটিকে ধরার ব্যবস্থা করা হয়।
বনবিড়ালটি আটককারী একরামুল হাসান বলেন, ‘আমার একটি মুরগির খামার রয়েছে। ফাঁদে আটক হওয়া বনবিড়ালটি আমার অনেক মুরগি খেয়ে ফেলছে। এলাকার একাধিক বাড়ির হাঁস-মুরগিসহ আমারও মুরগি ধরে নিয়ে যাওয়ায় গতরাতে ফাঁদ দিয়ে বনবিড়ালটিকে আটক করা হয়। তবে আমরা এলকাবাসী বিড়ালটির কোনো ক্ষতি করব না। বনবিড়ালটিকে সরকারি বা বেসরকারি কোনো কর্মকর্তা যাতে নিয়ে যান সেজন্য আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছি।’
স্থানীয় গৃহবধূ লাকী বলেন, ‘আমার একটি করে পরপর দুটি মুরগি ধরে নিয়ে গেছে বনবিড়ালটি। প্রাণীটি আটকানো সম্ভব হওয়ায় এখন স্বস্তিবোধ হচ্ছে।’
কুড়িগ্রাম প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল হাই সরকার জানান, বনবিড়ালটির সংরক্ষণের দায়িত্ব বন বিভাগের। তবে প্রাণীটির কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সেটা আমরা দেব।
জানতে চাইলে কুড়িগ্রামের বন কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, বনবিড়ালটি সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা আমাদের নেই। তবে এটি অবমুক্ত করতে হবে। আমি অবমুক্ত করার এখনি ব্যবস্থা করছি।
মাসুদ রানা/এসআর/এমকেএইচ