ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সব প্রার্থীরই একই প্রতিশ্রুতি

প্রকাশিত: ০৪:৪০ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৫

নির্বাচনী প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা। ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তফশিল ঘোষণার আগেই প্রচারণা শুরু করলেও বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টির কাউকে এখনো মাঠে দেখা যায়নি।

ক্ষমতাসীন দলের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করার জন্য নানা রকম চেষ্টা তদবির চালাতে ব্যস্ত রয়েছেন। মেয়র ও কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভিড় করা ছাড়াও ডিজিটাল ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুনসহ নানা কৌশলে প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন। এদিকে দেশে প্রথমবারের মতো স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে আয়োজনের আইন পাশ হওয়ায় সম্ভাব্য প্রার্থীদেরকেও ভিন্নভাবে ভাবতে হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৃণমূলের যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ে বা হাইকমান্ডের সঙ্গে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।

২৬ হাজার ১৭৭ ভোটারের ‘খ’ শ্রেণির ছেংগারচর পৌরসভায় মেয়র পদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ৯ নেতা দলের মনোনয়ন লাভে সচেষ্ট রয়েছেন। মাঠের আলোচনায় যারা রয়েছেন তারা হলেন, বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব রফিকুল আলম জর্জ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী গাজী, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও ছেংগারচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান মাস্টার, প্যানেল মেয়র রুহুল আমিন মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি বাবুল হোসেন, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন খান, প্রয়াত মেয়র বিল­াল হোসেন সরকারের স্ত্রী কুলসুম বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান আতিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহসিন মিয়া মানিক।

তবে একাধিক নেতা জাগো নিউজকে জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম) যাকে মনোনয়ন দেবেন, নেতাকর্মীরা তার পাশে থাকবেন।
 
অপরদিকে মেয়র পদে বিএনপি নেত্রী ও সাবেক মেয়র মিসেস আমেনা বেগম, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক খোরশেদ আলম মোল্লা, পৌর যুবদলের সভাপতি উজ্জল ফরাজীর নাম আলোচনায় রয়েছে। তবে বিএনপির কোনো প্রার্থী এখনো প্রকাশ্যে মাঠে নামেননি। জাতীয় পার্টির আবুল কালাম আজম ও অ্যাডভোকেট শামীমুল ইসলামের নাম আলোচনায় রয়েছে। তবে প্রায় সকল দলের সম্ভাব্য প্রার্থীই উন্নয়ন, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা বলছেন।

বর্তমান মেয়রের ব্যাপারে পৌরপার্ক নির্মাণ ও জীবগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে অডিটোরিয়াম নির্মাণে অনিয়ম নিয়ে মাঠে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে। ২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারি ছেংগারচর পৌর নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা বিল­াল হোসেন সরকার। ওই বছরেরই ১০ মে তিনি মারা যাবার পর মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল আলম জজ। তবে মাঠে-ময়দানে নির্বাচনী প্রচারণা না থাকলেও দলীয় সিদ্ধান্ত পেলে পরপর দু`বারের নির্বাচিত পৌর মেয়র ও গত দু`বারের পরাজিত আমেনা বেগম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।

এমজেড/পিআর