কঠোর লকডাউনের খবরে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১৪ এপ্রিল থেকে সরকারের সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণায় আজও মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই প্রতিটি ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীদেরও পদ্মা পার হতে দেখা গেছে। এছাড়া স্পিডবোট ও ট্রলারে করে পার হচ্ছেন যাত্রীরা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না কেউ।
এদিকে ফেরিতে ছোট যান ও যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে বিঘ্ন ঘটছে। এতে ফেরিঘাটে প্রায় ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
লকডাউনে যাত্রীবাহী সকল যান চলাচল বন্ধ থাকলেও সকাল থেকেই চলছে যাত্রীবাহী বাস। তিন থেকে চারগুণ বেশি ভাড়া নিয়ে চলছে এসব বাস।
এছাড়া মালবাহী খোলা ট্রাকের ওপরেও যাত্রী বহন করা হচ্ছে। তাই সকাল থেকেই এ ঘাটে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা থেকে আসা যাত্রী হোসনে আরা বেগম বলেন, ঝুঁকির মধ্যেই ফেরিতে কোনো রকমে দাঁড়িয়ে বাংলাবাজার ঘাটে নেমেছি। বরিশাল যাবো। কিন্তু বাসে ভাড়া চায় ৫০০ টাকা। বাসে নেই কোনো সিট। গাদাগাদি করেই যেতে হবে বাড়িতে।
ঢাকা থেকে আসা আরেক যাত্রী ইউসুফ মাদবর বলেন, ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে। ঢাকায় থাকলে সাতদিনই ঘরে বন্দী থাকতে হবে। কাজকর্ম বন্ধ থাকলে কি খাবো? লকডাউনে ঢাকায় থাকার চেয়ে বাড়িতে থাকলেও কোনো রকমে বাঁচতে পারবো।
নাসিরুল হক/এসএমএম/এএসএম