ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

উদ্বোধনেই সীমাবদ্ধ ফেনীর আইসিইউ সেবা!

জেলা প্রতিনিধি | ফেনী | প্রকাশিত: ০৭:৫৫ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২১

ফেনী জেনারেল হাসপাতালে গত ১৭ মে ১০ শয্যার ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) উদ্বোধন করা হয়। এরপর দীর্ঘ ১১ মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো রোগীকে আইসিইউ সেবা দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আইসিইউ সেবা না পেয়ে সেবাগ্রহিতাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় উদ্বোধনের পরও কোনো রোগীকে আইসিইউ সেবা দেয়া যায়নি।

jagonews24

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৭ মে ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে তড়িঘড়ি করে ১০ শয্যার আইসিইউ বিভাগের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। এছাড়া আইসিইউ বিভাগ সচল রাখতে ডা. আসিফ ইকবালসহ পাঁচ নার্সকে প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছিল।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আইশোলেশন ওয়ার্ডের রোগীর স্বজন মাহমুদা বিনতে নাজিফা জানান, ফেনীতে মঙ্গলবার(১৩ এপ্রিল) পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালেই তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। চিকিৎসার এক পর্যায়ে আইসিইউয়ের প্রয়োজন হলে অনেক রোগীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। কোনো কোনো রোগী ঢাকা যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা গেছেন। যদি আইসিইউ সেবার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে এটি উদ্বোধন কেন করা হয়েছে।

jagonews24

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার ইকবাল হোসনে ভূঞা জানান, জনবল সঙ্কটের কারণে আইসিইউ সেবা না দিতে পারলেও সেন্ট্রাল অক্সিজেনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

তিনি জানান, করোনা আক্রান্তদের সেবা দিতে গত বছরের মার্চে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৩০ শয্যার আইশোলেশন ওয়ার্ড চালু হয়। পরে চাহিদা বাড়ায় এখন ৭৫ শয্যা করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ফেনী ট্রমা সেন্টার ও মঙ্গলকান্দি ২৫ শয্যার হাসপাতালটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

jagonews24

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল খায়ের মিয়াজী জানান, ১০ শয্যার আইসিইউ চালু রাখতে হলে একজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিৎসক, তিনজন কনসালট্যান্ট ও ছয়জন মেডিকেল অফিসার প্রয়োজন। কিন্তু ফেনীতে মাত্র এক চিকিৎসক ও পাঁচ নার্সকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় জনবল সঙ্কটের কারণে আমরা কোনো রোগীকে আইসিইউ সেবা দিতে পারছি না।তবে আপাতত দুটি আইসিইউ শয্যা চালুর চেষ্টা করছি।

এএইচ/এএসএম