ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৌলভীবাজারে এক রাজাকার গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৫

মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি আঞ্জুমানে আল-ইসলাহর মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাবেক সভাপতি, রাজনগর উপজেলার রাজাকার মাওলানা আকমল আলীকে (৭৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি মৌলভীবাজার টাউন সিনিয়র কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ১৬/২০১৫ নম্বর মামলায় মৌলভীবাজারের ৪ মানবতাবিরোধী অপরাধীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ওই গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে রাজনগর থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত আমীর আলীর ছেলে মাওলানা আকমল আলীকে (৭৮) তার গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাজনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর মাওলানা আকমল আলীকে গ্রেফতার করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত হত্যা, লুট অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের মতো বেশ কয়েকটি সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৭ মে পাক হায়েনারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল নিরিহ-নিরস্ত্র লোকজনের ওপর। সূর্যদয়ের আগেই পাঁচগাঁওয়ে প্রবেশ করে হানাদার বাহিনী ব্রাশফায়ার করে নিরীহ লোকজনকে হাত-পা বেঁধে পাশের দীঘির পানিতে ফেলে দিয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান ৫৯ জন বাঙালি। এছাড়াও উপজেলার মুন্সিবাজার, পঞ্চেশরে গণহত্যা চালানো হয়।

এদিকে এর আগেও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রাজনগরের ৫ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে গত ১৩ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোওয়ানা জারি করেন। জারির পর গত ১৩ অক্টোবরই রাজনগর থানা পুলিশ উপজেলার সোনাটিকি গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে মাওলানা ইউনুস আহমদকে (৭১) তার নিজ বাড়ি ও গয়াসপুর গ্রামের মাওলানা আব্দুর নূর চৌধুরীর ছেলে উজায়ের আহমদ চৌধুরীকে (৬৫) মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনা থেকে গ্রেফতার করে।

তাদের বিরুদ্ধে আদালতে ১৪/২০১৫ নং মামলা রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট এর ৩ ধারা ৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে ওই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

ছামির মাহমুদ/এমএএস/পিআর