শাল্লায় আবারও সাম্প্রদায়িক হামলার আশঙ্কায় থানায় জিডি
একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত ‘মামুনুল হকের স্ত্রীর ফোনালাপ ফাঁস’ শিরোনামের একটি অডিও লিংক শেয়ার করে বিপাকে পড়েছেন সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপু।
গত ৪ এপ্রিল নিজের ফেসবুকে সেই লিংকটি শেয়ার করেছিলেন তিনি। এরপরই অরিন্দম চৌধুরী অপুর বিরুদ্ধে ফেসবুকে শুরু হয় সামপ্রদায়িক ভয়ভীতি প্রদর্শন ও উসকানি। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন অরিন্দম চৌধুরী অপুর ছোট ভাই অমিতাভ চৌধুরী।
অপু শাল্লা থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা সদরের ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা অনিল বরণ চৌধুরীর ছেলে।
থানায় করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, অরিন্দম চৌধুরী অপুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তির ফেসবুক থেকে অশালীন ও আপত্তিকর লেখা পোস্ট করে ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। সম্প্রীতি বিনষ্ট করে নোয়াগাঁও গ্রামের পুনরাবৃত্তি ঘটানো হবে বলেও ফেসবুকে বলা হচ্ছে। এতে ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন ক্ষতির আশঙ্কার কথা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, হেফাজত নেতা মামুনুল হকের অনুসারী অন্তত ১৩ জন ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের উসকানি ও ভীতি প্রদর্শন করছেন। এতে যেকোনো সময় যুবলীগ নেতা অপুর পরিবার ও তার গ্রামে আক্রমণ হতে পারে বলে আশংকা করছেন তারা।
এ ঘটনায় ১০ এপ্রিল রাতে শাল্লা থানায় নিরাপত্তা চেয়ে শাল্লা ও হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ এলাকার ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন অপুর ছোট ভাই অমিতাভ চৌধুরী।
অমিতাভ চৌধুরীর লিখিত অভিযোগের বিষয়টি শাল্লা থানার পুলিশ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে রেকর্ড করেছে(শাল্লা থানার জিডি নং- ৩২৫, তরিখ-১০/০৪/২০২১ ইং)।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে শাল্লা থানার ওসি নূর আলম বলেন, যুবলীগ নেতা অপুর বিরুদ্ধে ১৩ জন ফেসবুকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামের পরিবেশ স্বাভাবিক আছে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিপসন আহমেদ/এফএ/জেআইএম