কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরো দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরো দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান আসামিদের উপস্থিতিতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালে হরমুজ আলী ও শমসের মিয়া নামের দুইজন সাক্ষী দিয়েছেন। গত বুধবার তাদের সাক্ষ্য দেয়ার কথা থাকলেও অন্য মামলায় হাজিরা থাকায় আদালতে পর্যাপ্ত আসামি হাজির না হওয়ায় তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি।
২ ও ৩ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি কিশোর কুমার কর।
অ্যাড. কিশোর কুমার কর জাগো নিউজকে জানান, কিবরিয়া হত্যা মামলায় ১৪ আসামির মধ্যে বৃহস্পতিবার আদালতে ১২ জন উপস্থিত ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বহিষ্কৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও বিএনপি-জামায়াত চার দলীয় জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
কিশোর কুমার কর আরো জানান, কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে আটজন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খানের সাক্ষগ্রহণের মধ্যদিয়ে শুরু হয় এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। এ পর্যন্ত মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আলোচিত এই মামলায় মোট ১৭১ জনের সাক্ষ্য নেয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। ওই হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী।
এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।
গত ১১ জুন হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুলাহ মামলাটি বিচারের জন্য সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/পিআর