মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া সেই দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নিলেন মন্ত্রী তাজুল
মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের অটোরিকশা চালক বিল্লাল হোসেনের দুই মেধাবী যমজ সন্তান আরিফ হোসেন ও শরিফ হোসেনের পড়াশোনার জন্য এক লাখ টাকা শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম। এছাড়াও ভবিষ্যতে তাদের পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে গিয়ে মন্ত্রীর পক্ষে শুভেচ্ছা উপহারের টাকা তুলে দেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম।
জানা যায়, সম্প্রতি প্রকাশিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মনোহরগঞ্জ উপজেলার মানরা গ্রামের ইজিবাইক চালক বিল্লাল হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন ৮২২তম হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ও শরিফ হোসেন ১১৮৬তম হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। দুই মেধাবী যমজ সহোদরের এ সাফল্যের খবরে পরিবার ও এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মধ্যে এ দুই মেধাবী সন্তানের সাফল্যের বিষয়টি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। তাদের বাড়িতে গিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন অনেকেই।
আরিফ ও শরিফ বলেন, ‘আমাদের এ সাফল্যের খবরে এলাকার কৃতি সন্তান ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম অতীতের মতো আবারও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি আমাদের এক লাখ টাকা নগদ উপহার হিসেবে দিয়েছেন। এজন্য আমাদের পরিবার তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’
তাদের বাবা বিল্লাল হোসেন জানান, ‘মন্ত্রী মহোদয় আগেও আমার দুই ছেলের লেখা পড়ার জন্য সহায়তা করেছেন। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার খবরে তিনি ১ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন। দুই ছেলের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে আরও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন, এজন্য আমরা আনন্দিত ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
দুই ভাইয়ের হাতে অর্থ হস্তান্তরের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, যুবলীগ নেতা আমির হোসেন, মো. কামাল হোসেন, মো. জসিম উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
শুক্রবার সকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘শেখ হাসিনার সরকারের আমলে অর্থাভাবে কারও লেখাপড়া বন্ধ হয়নি। শিক্ষার সবক্ষেত্রে উন্নয়ন ও সহায়তায় এ সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। মেধাবী আরিফ ও শরিফ আমাদের এলাকার গর্ব। তারা দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে লেখাপড়ায় জয়ী হয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাদের এ খুশির খবরে উপহার হিসেবে এক লাখ টাকা পাঠিয়েছি। ভবিষ্যতে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে অতীতের মতো তাদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে।’
মো. কামাল উদ্দিন/এসএস/এএসএম