২৪ দিনে বগুড়ার হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী বেড়েছে ৫ গুণ
বগুড়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার হাসপাতালগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে রোগীও। গত ১৫ মার্চের পর থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত হাসপাতালগুলোতে পাঁচগুণ রোগী বেড়েছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রথম দফার তুলনায় দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের তীব্রতা খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি এবার কম বয়সীরাও আক্রান্তদের মৃত্যুও দ্রুত ঘটছে। বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৫০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বুধবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৬ এপ্রিল শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ১৯৩টি নমুনায় ৪৬ জনের পজিটিভ এসেছে। এছাড়া টিএমএসএস এ ২০টি নমুনায় চারজনের পজিটিভ এসেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৩টি নমুনার ফলাফলে সদরে ৪০ জন, আদমদিঘীতে তিনজন, দুপচাচিয়া দুজন, গাবতলীতে দুজন এবং শেরপুর, কাহালু, শাজাহানপুরে একজন করে নতুন করোনায় আক্রান্ত।
বুধবার সকালে সর্বশেষ ফলাফল পাওয়া পর্যন্ত বগুড়ায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ১০ হাজার ৬৩৭ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ হাজার ৮৬৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৬৫ জনের। এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫০৩ জন।
বগুড়ায় যে তিনটি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাদের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। ১৫ মার্চ তিনটি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলেন মাত্র ২২ জন। ৭ এপ্রিল দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ দিনে তা পাঁচগুণ বেড়ে হয়েছে ৫০৩ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে রোগী বেড়েছে বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রঢাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে বগুড়া ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, অসচেতনতার কারণেই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে।
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনও সময় আছে। আমাদের সতর্ক হতে হবে। যদি তা না হই তাহলে সামনে আরও বিপদ বাড়বে।’
এসজে/এএসএম