সাভারে অটোরিকশার দাপট
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশের ন্যায় সাভারেও সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে চলছে সরকার ঘোষিত সাতদিনের লকডাউন। তবে লকডাউনে সরকার নির্দেশনা মানছে না অনেকেই।
লকডাউনকে উপেক্ষা করে সকাল থেকেই সড়ক-মহাসড়কে বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এছাড়া নিষিদ্ধ পরিবহন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাও চলাচল করতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এসব যানবাহনের সংখ্যা কমে আসে।
এদিকে, জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে মহাসড়কে চলাচলকারী সিএনজি ও অটোরিকশার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এসব যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ সময় নিষিদ্ধ যানবাহনগুলোকে বেপরোয়া গতিতে স্বাধীনভাবে চলতে দেখা যায়।
জানতে চাইলে সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক সাজ্জাদ করিম জানান, ‘আমাদের ফোর্স স্বল্পতা থাকায় এবং লকডাউনে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে মহাসড়কে চলাচলকারী অটোরিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কিছুটা শিথিলতা দেখানো হচ্ছে। এরপরও সকাল থেকে আমরা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ১৪টি অটোরিকশাকে মামলা দিয়েছি এবং এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে।’
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহীল কাফী বলেন, ‘লকডাউনকে কেন্দ্র করে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সরকার ঘোষিত নির্দেশনাবলী কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে। সকালে নির্দেশনার অমান্য করে কিছু যাত্রীবাহী পরিবহন মহাসড়কে চলাচল করায় যাত্রীদেরকে নামিয়ে দিয়ে গাড়ির নামে মামলা দেয়া হয়েছে।’
মহাসড়কে চলাচলকারী অটোরিকশার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লকডাউনে সড়কে গণপরিবহন না থাকার সুযোগে অনেকেই অটোরিকশা নিয়ে মহাসড়কে চলাচল করছেন। তবে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থাগ্রহণ অব্যাহত আছে।’
অন্যদিকে সোমবার সকাল ১০টা থেকে সাভারের বিভিন্ন পয়েন্টে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দূরপাল্লার যাত্রীবাহী শ্যামলী পরিবহনের বাসকে ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা ও সাভার বাস স্ট্যান্ডের সুরুচি হোটেলকে ৩ হাজার টাকা, হেমায়েতপুরের লালন টাওয়ারে এনজেল নামক প্রসাধনীর দোকান খোলা রাখায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আল-মামুন/এসজে/এমএস