চকরিয়ায় কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বসতভিটার বিরোধের জের ধরে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের মছনয়াকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার শিকার কৃষকের নাম আহমদ হোসেন (৩২)। তিনি ওই এলাকার মৃত ফজল করিমের ছেলে। ঘটনাটি সকালে সংগঠিত হলেও থানা পুলিশ রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়নি। তবে রাত পৌনে আটটার দিকে নিহতের ভাই মোহাম্মদ হোছন বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে একই এলাকার কামাল হোসেন, তার ছেলে ছুট্টো মিয়া, মোহাম্মদ টিপু প্রকাশ ওরফে টিপুইয়া, আবদুর রহিম প্রকাশ ওরফে রহিম বাদশা ও স্ত্রী পাখী বেগম।
থানায় এজাহারটি দাখিল করার পর রাতে মরদেহটি উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় বলে উল্লেখ করেন বাদী।
চকরিয়া থানায় দায়ের করা এজাহারে বাদী মোহাম্মদ হোছেন জাগো নিউজকে জানান, উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মছনিয়াকাটা এলাকায় ক্রয়করা পাহাড়ি জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করেন তার ভাই আহমদ হোসেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ১৫-২০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে আহমদ হোসেনের বসতভিটার জায়গাটি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এরই জের ধরে বুধবার বেলা আনুমানিক ৯টার দিকে তারা দলবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা করে কৃষক আহমদ হোসেনের বাড়িতে। ওইসময় তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয় আহমদ হোসেন ও তার স্ত্রী বুলবুল আক্তারকে।
ঘটনার পর প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা আহত আহমদ হোসেনকে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে বলে থানায় দায়ের করা এজাহারে বাদী নিহতের ভাই মোহাম্মদ হোছেন দাবি করেন।
চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জাগো নিউজকে বলেন, বুধবার রাতে নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। এজাহারটি পাওয়ার পর হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি দেবাশীষ সরকারসহ পুলিশের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এরপর প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুলিশ।
সায়ীদ আলমগীর/এমজেড/পিআর