স্বামী-শাশুড়ির আগুনে দগ্ধ সেই গৃহবধূর মৃত্যু
গাইবান্ধায় স্বামী ও শাশুড়ির দেয়া আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন শারমিন আক্তার (২৭) নামের সেই গৃহবধূ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন।
শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মজিবর রহমান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত শারমিন আক্তার গাইবান্ধা সদরের কাবিলের বাজার এলাকায় শফিকুল ইসলামের মেয়ে ও একই এলাকার ইসমাইল হোসেনের পুত্রবধূ।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে একই এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে কোরবান আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় শারমিন আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা কারণে তার ওপর নির্যাতন করতেন স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন।
গত মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারপিটের পর তার শরীরে গ্যাসলাইট দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী কোরবান আলী ও শাশুড়ি কুলছুম বেগম।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীকে দিনভর ঘরবন্দি করে রাখা হয়। পরে শারমিনের বাবার বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে রাত ৯টায় জেলা সদর হাসপাতাল নিয়ে যায়।
সেখানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠান। পরে অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
শনিবার সকালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় বুধবার (২৪ মার্চ) দুপুরে শারমিনের বাবা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দুপুরে কোরবান আলী ও কুলসুম বেগমকে আসামি করে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করেন। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জাহিদ খন্দকার/এসএমএম/এমএস