ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ইলেকট্রিক হর্নে অতিষ্ঠ সিদ্ধিরগঞ্জবাসী

এস কে শাওন | প্রকাশিত: ০৫:৪৭ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২১

পায়ে চালিত রিকশার তুলনায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চালক ও যাত্রীর সময় বাঁচে। এমনকি চালকের পরিশ্রমও কম হয়। কিন্তু অটোরিকশায় ব্যবহৃত ইলেকট্রিক হর্ন এখন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর ভোগান্তির অন্যতম কারণ।

অটোরিকশার ইলেকট্রিক হর্নে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। চালকদের অযথা হর্ন বাজানোর ফলে নিয়মিত হচ্ছে শব্দ দূষণও। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ কোনো পদক্ষেপ না থাকায় এ দুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সায়েম আহমেদ বলেন, ‘আগে রিকশাগুলোতে যে বেল (এনালগ হর্ন) ব্যবহার হতো, সেগুলোর আওয়াজ সহনীয় ছিল। এখন রিকশায় যে ইলেকট্রিক হর্ন ব্যবহার হয় এগুলোর শব্দ তীব্র।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এলাকায় স্কুল, মাদরাসা ও হাসপাতাল রয়েছে। এসব স্থানে ইলেকট্রিক হর্ন বাজানোতে এলাকাবাসী বিরক্ত।’

সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আকাশ বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ইলেকট্রিক হর্ন কানে বাজে। যখন এনালগ হর্ন ব্যবহার হতো তখনকার শব্দ এতটা তীব্র ছিল না। অনেক সময় অটোরিকশাচালকরা অযথা হর্ন বাজায়। এলাকার মানুষ এতে অতিষ্ঠ।’

jagonews24

একই এলাকার বাসিন্দা ফারজানা আক্তার মিতু বলেন, ‘আমার ১৪ মাস বয়সের বাচ্চা ইলেকট্রিক হর্নে ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না। রাস্তার পাশে বাসা হওয়ায় সারাক্ষণ এ হর্নে অসহনীয় শব্দ শুনতে হয়।’

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ-আল মামুন বলেন, ‘আবাসিক এলাকার অলিগলিতে মোবাইলকোর্ট বসানো কঠিন। তবে অটোরিকশার হর্নের বিষয়টি নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিত মনে হয়। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করব।’

অটোরিকশার ইলেকট্রিক হর্নে স্বাস্থ্যগত বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হয় জানিয়ে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের শব্দ দূষণের অন্যতম একটি প্রধান উৎস হচ্ছে যানবাহনের হর্ন। বর্তমানে শহরাঞ্চল ছাড়িয়ে এই উৎসটি মফস্বল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মফস্বলে যানবাহনের হর্নের অন্যতম একটি উৎস হলো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, যা দ্রুতগতিতে চলে। এটি পথচারীদের সমস্যার কথা তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র হর্ন বাজাতে বাজাতে চলতে থাকে। মানুষের কানের খুব কাছে হর্ন বাজানোয় স্বাস্থ্যগত অনেকরকমের বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।’

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের (টি.আই) ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কামরুল ইসলাম বেগ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে যানবাহন আইন প্রয়োগ অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না। তবে আইন প্রয়োগ না করতে পারলেও নিয়ম ভঙ্গ করলে অটোরিকশার হর্নগুলো আমরা খুলে রেখে দেই।’

এসজে/জেআইএম