ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নতুন লোহার খনির সন্ধানে দিনাজপুরে খননের প্রস্তুতি

জেলা প্রতিনিধি | দিনাজপুর | প্রকাশিত: ০৯:১৩ পিএম, ২২ মার্চ ২০২১

দিনাজপুরে আরও একটি নতুন লোহার খনি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর (জিএসবি) সম্ভাব্য খনির অবস্থান চিহ্নিত করেছে।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ১০নং পুনট্রি ইউনিয়নের কেশবপুর মৌজায় এ সম্ভাব্য খনির অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

 

 

jagonews24

 

এর আগে ২০০১ সালে পার্শ্ববর্তী উপজেলা পার্বতীপুরের আমবাড়িতে তামার খনি পাওয়ার আশায় কূপ খনন করা হয়। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

নতুন খনির খোঁজ পাওয়ার পর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে নেমেছেন জিএসবি কর্মকর্তারা। সবশেষ হাকিমপুরের ইসবপুরে লোহার খনির পর, এবার চিরিরবন্দর উপজেলার কেশবপুর মৌজায় নতুন সম্ভাব্য খনির অবস্থান চিহ্নিত করল জিএসবি। এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কূপ খননের কাজেও নেমেছে দফতরের অনুসন্ধানী দল। প্রথম তিন মাস কূপ খনন করে চলবে খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান কাজ। তারই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে সেখানে।

jagonews24

 

নতুন খনিতে লোহার কাঁচামাল আকরের পুরুত্ব অনেক বেশি। তাই লোহার সঙ্গে তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশাও করছেন তারা। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে আসা হচ্ছে কেশবপুরে। সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর-জিএসবি‘র মহাপরিচালক ড. মো. শের আলী কূপ খনন কাজের উদ্বোধন করবেন। এর আগে তারা কিছুই বলতে চান না।

এ ব্যাপারে ১০ নং পুনট্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুর-এ-কামাল জানান, বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের (ভূতত্ত্ব) পরিচালক মো. আবদুল আজিজ পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসককে দেয়া একটি চিঠির অনুলিপি পেয়েছেন তিনি।

jagonews24

চিঠিতে কেশবপুর এলাকায় জি ডি এইচ-৭৬/২১ কূপ খনন কার্যক্রমে বহিরাঙ্গনে অবস্থানকালে কর্মকর্তাদের আনুষঙ্গিক সহায়তা, নিরাপত্তা, তথ্য ও উপাত্ত সরবরাহ, যাতায়াত, পথ প্রদর্শন প্রদানে সহযোগিতার অনুরোধ করা হয়েছে। এই চিঠি পুলিশ সুপার, চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চিরিরবন্দর থানাকেও দেয়া হয়েছে।

কূপ খনন কাজে দল প্রধান হিসাবে রয়েছেন উপ পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. মাসুদ রানা। তার সঙ্গে রয়েছেন উপ পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. নিহাজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. নাজমুল হোসেন খান, সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মঞ্জুর আহমেদ এলাহী ও সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. রোকনুজ্জামান।

এমদাদুল হক মিলন/এএইচ/এমকেএইচ