ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চাঁদপুরে তিন মাসে যক্ষ্মায় আক্রান্ত ১৭০০ জন

জেলা প্রতিনিধি | চাঁদপুর | প্রকাশিত: ০৩:১৯ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

চাঁদপুর জেলায় যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ব্র্যাক ও সরকারিভাবে যক্ষ্মা নিরাময়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার পরও আক্রান্ত রোগী নিয়ন্ত্রণে আসছে না। গত তিনমাসে চাঁদপুরে যক্ষ্মা রোগে ৪জন মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৭শ’ ২জন। এর মধ্যে এমডিআর আক্রান্ত জটিল রোগীর সংখ্যা ২৫ জন। ইতোমধ্যে চিকিৎসায় যক্ষ্মা মুক্ত হয়েছে ৮শ’ ৮২জন।
           
ব্র্যাক চাঁদপুর অফিসের কর্তৃপক্ষ জাগো নিউজকে জানায়, চাঁদপুর জেলায় আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৩ মাসে ১হাজার ৭শ’ ০২জন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে এমডিআর আক্রান্ত জটিল রোগীর সংখ্যা ২৫ জন। ৩ মাসে মারা গেছে ৪ জন।

কর্তৃপক্ষ সূত্রে আরও জানা যায়, উপজেলা ওয়ারী চাঁদপুর সদর উপজেলায় ৩শ’ ৭৩ জন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে এমডিআর রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬ জন। মারা গেছে ১ জন। হাজীগঞ্জ উপজেলায় ১শ’ ৬২ জন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে এমডিআর রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪ জন। মারা গেছে ১ জন। শাহরাস্তি উপজেলায় ১শ’ ২৭ জন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কচুয়া  উপজেলায় ২শ’ ১৭ জন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে এমডিআর রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪ জন। মারা গেছে ১ জন। মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ২শ’ ৬৫ জন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে এমডিআর রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩ জন। মতলব উত্তর উপজেলায় ২শ’ ১২জন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে এমডিআর রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন ২ জন। ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ২শ’ ৬ জন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে এমডিআর রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে ৬ জন। হাইমচর উপজেলায় ১শ’ ৮০ জন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মারা গেছে ১ জন।
                
ব্র্যাক চাঁদপুরে এক্সটার্নাল কোয়ালিটি এসোরেন্স মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, চাঁদপুরে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ব্র্যাক কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে বিনামূল্যে এ চিকিৎসা দিয়ে আসছে।যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ব্র্যাক চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে এখন মৃত্যুর হার খুবই কম। চিকিৎসায় ঝুঁকিপূর্ণ এমডিআর রোগীও অনেক স্থানে ভালো হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
               
চাঁদপুর বক্ষ ব্যাধি ক্লিনিকের জুনিয়ার কনসালটেন্ট ডা. জহিরুল হক জাগো নিউজকে জানান, অক্টোবর মাসে এ ক্লিনিকে ৩শ’ ৯৩ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন রোগীর যক্ষ্মা জীবাণু পাওয়া গেছে। এদের ১৪ জনকে ব্র্যাকের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর চারজনকে বক্ষ ব্যাধি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, গড়ে এখন জেলায় ৬.২% রোগীর মধ্যে যক্ষ্মার জীবাণু পাওয়া যাচ্ছে।

ইকরাম চৌধুরী/এসএস/এমএস