ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

এজেন্ট ও কর্মী নিয়োগের নামে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক | রংপুর | প্রকাশিত: ০১:২৯ পিএম, ২০ মার্চ ২০২১

মুক্তাপানিসহ বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানির এজেন্ট নিয়োগের নামে চার কোটির অধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে রংপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ মার্চ) বগুড়ার শিবগঞ্জের কালিতলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তরিকুল ইসলাম নামে ওই প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার তরিকুল বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দামগাড়া বারহট্টা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

শনিবার (২০ মার্চ) দুপুর ১২টায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।

তিনি জানান, ২০২০ সালে মুক্তাপানি ও টিএমএফ (তরিকুল, মোতালেব, ফিরোজ) ট্রেডার্স লিমিটেড নামে কোম্পানির ভুয়া এজেন্ট নিয়োগের জন্য রংপুর বিভাগের সাতটি জেলা ও উপজেলায় (লালমনিরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, বিরামপুর) অফিস চালু করেন গ্রেফতার তরিকুল ইসলাম। পরবর্তীতে তরিকুল ইসলাম তার সহযোগীদের মাধ্যমে কোম্পানির এজেন্ট নিয়োগ দেয়ার নামে বিভিন্ন পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে রংপুর মহানগরসহ রংপুর বিভাগের ৬ শতাধিক ব্যক্তি মুক্তা কোম্পানির এজেন্ট ও কর্মী হওয়ার জন্য আবেদন করেন। এরপর প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা করে গ্রহণ করেন তরিকুলসহ তার সহযোগীরা।

এভাবে তরিকুল পর্যায়ক্রমে প্রায় চার কোটিরও অধিক টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে মুক্তাপানির এজেন্টদের পণ্য সরবরাহ না করে তরিকুল ও তার সহযোগীরা রংপুর থেকে ঢাকায় পালিয়ে যান।

কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান আরও জানান, গত জানুয়ারি মাসে তরিকুলের নামে ভুক্তভোগীরা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় তরিকুলের নামে প্রতারণার অপরাধে মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর হয়।

রংপুর মহানগর ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে প্রতারক তরিকুল ও তার অন্য সহযোগীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ডিবি পুলিশের একটি দল বগুড়ার শিবগঞ্জের কালিতলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তরিকুলকে গ্রেফতার করে। অভিযানে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানা সার্বিকভাবে সহায়তা করে।

কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান জানান, তরিকুলের ঢাকার নিকুঞ্জে একটি বিলাসবহুল বাসভবন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান ও মামলাটির সার্বিক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

জিতু কবীর/এফএ/এএসএম