২৮ গরু-মহিষ লুটে নিয়ে গেল লাঠিয়ালরা
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদী বেষ্টিত চর আবদুল্লাহ থেকে ২৮টি গরু, ছাগল, মহিষ লুটে নিয়েছে লাঠিয়াল বাহিনী। এসময় অন্তত ১০ বাড়িতে হামলা চালিয়ে স্বর্ণসহ দুই লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে (রামগতি অঞ্চল) মামলা করা হয়। মামলায় পার্শ্ববর্তী ভোলার তজমুদ্দিনের চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকরুল আলম জাহাঙ্গীরসহ ৪৬ জনকে আসামি করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এই হামলার ঘটনায় এখনও হুমকির মুখে রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালীকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভোলার চাঁদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান ফকরুল আলম জাহাঙ্গীরসহ আসামিরা দেশীয় অস্ত্রসহ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামগতির চর আবদুল্লাহর দক্ষিণ মাথায় তেলির চরের জমি দখলে নিতে আসে। এসময় তাদের বাধা দিলে মহিউদ্দিন মাঝিসহ অন্তত ১০ বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে স্বর্ণসহ দুই লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়া হয়।
এছাড়া এসময় মারধর করা হয় গৃহবধূ নুরজাহান ও জোসনাকে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন সংগঠিত হলে আসামিরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। যাওয়ার সময় তারা বিভিন্ন আকারের ২২টি গরু, চারটি মহিষ ও দুইটি খাসি নিয়ে যায়।
চর আবদুল্লাহর ইউনিয়ন পরিষদের তিনজন সদস্য জানান, রামগতির তেলির চর ও চর মুজাম পাশাপাশি অবস্থিত। তজমুদ্দিনের চাঁদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর একটি লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করে দীর্ঘদিন ধরে ওই চরগুলো দখল করে ভোগ করছেন।
তারা আরও জানান, প্রায়ই এই লাঠিয়াল বাহিনী তেলিরচর এলাকা দখল করতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ব্যর্থ হয়ে প্রত্যেকবারেই চরের বাসিন্দাদের ক্ষতি করে। বহিরাগত লাঠিয়াল বাহিনীর হুমকির মুখে সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয় তাদের।
মামলার বাদী চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মো. টিপু বলেন, জাহাঙ্গীরসহ আসামিরা চরের জমি দখলে নিতে এসে আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ওপর হামলা করেছে। তারা গরু-মহিষ লুট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে অন্তত ২৩ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। নদী বেষ্টিত হওয়ায় ওই লাঠিয়ালরা চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের অংশে প্রায়ই হামলা চালায়। তাদের ভয়ে কেউ মামলা করারও সাহস পান না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চাঁদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান ফকরুল আলম জাহাঙ্গীরের মোবাইলে একাধিকবার কল ও এসএমএস পাঠানো হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কাজল কায়েস/এসএমএম/এমকেএইচ