সিলেটে বন্ধ থাকা সরকারি তেল শোধনাগার দ্রুত চালুর আশ্বাস
সিলেটে সাড়ে পাঁচ মাস ধরে সরকারি জ্বালানি তেল শোধনাগার বন্ধ রয়েছে। বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের উপজাত (কনডেনসেট) থেকে জ্বালানি তেল উৎপদন করা হচ্ছে। ফলে বড় অংকের লোকসান গুণছে সরকার। একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র জ্বালানি তেল সঙ্কট। তাই সঙ্কট লাঘবে বন্ধ থাকা সরকারি তেল শোধনাগার দ্রুত চালুর আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দীক।
বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে সিলেটের জ্বালানী পরস্থিতি নিয়ে সংশ্লিস্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিপিসি চেয়ারম্যান এ আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকা পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্ট এবং পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, সিলেটের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাসের সঙ্গে পাওয়া যায় এনজিএল ও কনডেনসেট। এই কনডেনসেট শোধনাগারে রূপান্তরের মাধ্যমে তৈরি হয় পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেন। আর এনজিএল থেকে তৈরি হয় এলপিজি। আগে সিলেটের জ্বালানী তেলের চাহিদার পুরোটাই সরবরাহ হতো স্থানীয় শোধনাগার থেকে। তবে সরকারি শোধনাগার বন্ধের পর থেকে চট্টগ্রাম থেকে ওয়াগনের মাধ্যমে তেল আসে সিলেটে। সম্প্রতি ওয়াগন সঙ্কট ও তেলবাহী ট্রেনের ঘন ঘন দুর্ঘটনার কারণে ব্যাহত হয় তেল সরবরাহ। ফলে সিলেটে জ্বালানী তেলের তীব্র সঙ্কট দেখা দেয়। সঙ্কট দূর ও সিলেটের শোধনাগার চালুর জরালো দাবি জানায় সিলেটের পেট্রোল পাম্প ব্যবসায়ীরা। দাবি পূরণ না হলে ধর্মঘটে যাওয়ারও হুমকি দেন তারা। এ অবস্থায় জ্বালানী তেল ব্যবসায়ী, প্রশাসনসহ সংশ্লিস্টদের নিয়ে মতবিনিময় করেন বিপিসি চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দীক।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।
বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, সিলেটে কয়েকবার তেলবাহী ওয়াগন দুর্ঘটনার পাশাপাশি গ্যাস ফিল্ড থেকে তেল উৎপাদন বন্ধ থাকায় চাহিদা মোতাবেক তেল সরবারাহে সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যা আর থাকবে না। সড়ক পথের পাশাপাশি এবার নদীপথেও সিলেটে তেল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যা খুব দ্রুত শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সিলেটের শোধনাগার থেকে জ্বালানী উৎপাদন হচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে আগামী ১/২ মাসের মধ্যে এসব শোধনাগার থেকে তেল উৎপাদন শুরু করা হবে।
ছামির মাহমুদ/এএইচ/জিকেএস