ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

টাঙ্গাইলে জমে উঠছে শীতবস্ত্রের মার্কেট

প্রকাশিত: ০৯:১২ এএম, ২২ নভেম্বর ২০১৫

‘দেইখ্যা লন, বাইছ্যা লন, এক দাম এক রেট, পাঁচ টাকা, দশ টাকা।’ ‘পঞ্চাশ টাকা, পঞ্চাশ টাকা’। ‘এক থেকে দেড়শ টাকা’। একটা নিলে একটা ফ্রি। এভাবেই নারী, পুরুষ, শিশু, তরুণ-তরুণীদের মাঝে শীতের পোশাক বিক্রি করছে টাঙ্গাইল শহরের কোর্ট চত্বর ও জেলার হকার মার্কেটের পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ীরা।  

পৌষ ও মাঘ মাসের হাড় কাঁপানো শীতকে সামনে রেখে গরম কাপড় ক্রয়ের জন্য ঝুঁকছে মানুষ। উচ্চ আয়ের মানুষেরা বিভিন্ন নামিদামি মার্কেট থেকে বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় কিনতে পারলেও গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা টাঙ্গাইল কোর্ট চত্বর ও জেলা হকারদের বিক্রি করা গরম কাপড়ের মার্কেট।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কোট চত্বর ও জেলার খোলা মাঠে শীতের কাপড় নিয়ে কাপড় ব্যবসায়ীরা বসে আছেন এবং সাধারণ মানুষ যার যার সাধ্য মতো তা কিনছেন। কোট চত্বরের শীতের কাপড়ের মার্কেটটি মূলত গরীবের মার্কেট হিসেবে পরিচিত। তবে এখানে সব শ্রেণির মানুষই শীত বস্ত্র কিনে থাকেন। এই মার্কেটগুলোতে ১০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকার পর্যন্ত কাপড় পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে কোর্ট চত্বরের কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আয়নাল হোসেন বলেন, সোয়েটার,  ট্র্যাকশুট, মোজা, টুপি, বাচ্চাদের কাপড়, ট্রাওজারসহ বিভিন্ন ধরনের শীতের কাপড় বিক্রি করে থাকি। আমরা চিটাগাং এর আমিন মার্কেট থেকে বেল হিসেবে এই সব শীতের কাপড় নিয়ে আসি। বিভিন্ন ধরনের বেল বিভিন্ন রকমের দাম। সোয়েটারের ছোট বেল ৬০০০ টাকা,  ট্র্যাকশুট ১৮ হাজার টাকা, ব্যাগ ১৮ হাজার টাকা, বড় সোয়েটার ১৫ হাজার।  বেল ভাঙার পর কাপড়গুলোর একটা গড় মূল্য নির্ধারণ করার পর আমরা বিক্রি শুরু করি। খরচ বাদে যা থাকে তাতে মোটামুটি ভালই লাভবান হই।

তিনি আরও বলেন, গত বছর আমার খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা, লাভ হয় ১ লাখ টাকা। আস্তে আস্তে শীত বাড়ছে, লোকজন শীতের কাপড় কিনছে। এবারও আমি আশা করছি শীতের কাপড় বিক্রি করে ভালো লাভবান হবো।

অপর এক কাপড় ব্যবসায়ী সজিব বলেন, আমাদের এইখানে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকার পর্যন্ত শীতের কাপড় পাওয়া যায়। আমরা শীতের সকল ধরনের কাপড় বিক্রি করে থাকি।

এসএস/পিআর