মাদরাসায় এক লাখ কোরআন বিতরণ করছেন মোটর মেকানিক
ছিলেন মোটর মেকানিক। নিজের উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে নতুন নতুন যন্ত্র আবিষ্কার করে হয়েছেন দেশসেরা উদ্ভাবক। এসব উদ্ভাবনের জন্য একাধিকবার জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে পেয়েছেন পুরস্কার। এবার তিনি এক লাখ কোরআন শরীফ বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করছেন।
১৯৭১ সালে জন্ম নেয়া যশোরের শার্শা উপজেলার মিজানের বাবা-মা কেউই বেঁচে নেই। তার একাডেমিক কোনো শিক্ষা না থাকলেও নিজের আলোয় আলোকিত তিনি। করোনা মহামারির সময় তিনি রেলস্টেশন ও যাত্রী ছাউনিতে থাকা অসহায় মানুষের মাঝে প্যকেট খাবার, মাস্ক বিতরণ করেছেন। শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন।
সমাজসেবার অংশ হিসেবে তিনি কোরআন বিরণের সিদ্ধান্ত নেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে অর্থ দিয়েছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং প্রবাসীরা।
অনুদানের টাকা দিয়ে সম্প্রতি নাভারণ হক কমিউনিটি সেন্টারে কোরআন বিতরণ ও কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোরআন প্রতিযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ মো. মাহফুজুর রহমান ফিতা কেটে পবিত্র আল কোরআন বিতরণ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে মিজান বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৩০ হাজার কোরআন বিতরণ করেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে কোরআন বিতরণের উদ্বোধন করা হলো। পর্যায়ক্রমে এক লাখ কোরআন বিতরণ করা হবে।
মো. জামাল হোসেন/এমএইচআর/এমকেএইচ