ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ইউনিয়ন আ.লীগের কার্যালয়সহ আড়াইশ’ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

জেলা প্রতিনিধি | পাবনা | প্রকাশিত: ০৭:৫৫ পিএম, ০৩ মার্চ ২০২১

ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। বুধবার (৩ মার্চ) সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বেড়া উপজেলার কাশীনাথপুর ফুল বাগান মোড়ে উচ্ছেদ অভিযান চলে।

অভিযানে জাতসাখিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ প্রায় আড়াইশ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। সাত মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এ কার্যালয়টি উচ্ছেদ হলো বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একে এম শামসুজ্জোহার নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামসহ পুলিশ, দমকল বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ ও গ্যাস কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনগত সহযোগিতা করেন।

jagonews24

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একে এম শামসুজ্জোহা বুধবার সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে জানান, এবার সওজের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলবে পাবনা জেলার প্রান্তসীমা কাশীনাথপুর থেকে পাবনা শহরের অদূরের টেবুনিয়া পর্যন্ত। এতে কাজীরহাট-পাবনা, নগরবাড়ী-বগুড়া, পাবনা- ঈশ্বরদী ও ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

কাশীনাথপুরের স্থানীয় বেশকিছু বাসিন্দা জানান, অভিযানের প্রথম দিনেই গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে জাতসাখিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয়। এটি সড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল। গত বছরের ৩১ জুলাই অর্থাৎ সাত মাস আগে সওজ বিভাগ অবৈধ স্থাপনা হিসেবে এ কার্যালয়টি উচ্ছেদ করেছিল।

jagonews24

জাতসাখিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম ফজলুল হক জানান, তারা ফুটপাতের পাশে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় অফিস নির্মাণ করেছিলেন। এটি পার্টির নিজস্ব বা ভাড়া জায়গা নয়। এখন সরকারি প্রয়োজনে ও জনগণের চলাচলের স্বার্থে কার্যালয়টি উচ্ছেদ করা হয়েছে। সরকার জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করে। তাই এ নিয়ে তারা কোনো আপত্তি জানাননি বা তাদের কোনো অভিযোগও নেই বলে জানান।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একে এম শামসুজ্জোহা জাগো নিউজকে জানান, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ হয়েছে। অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চলবে। তিনি জানান, কয়েকদিনের মধ্যেই আবার ঢাকা- পাবনা মহাসড়কের পাশে উচ্ছেদ অভিযান চলবে। যারাই অবৈধভাবে জায়গা দখল করে রেখেছেন তাদের স্থাপনা উচ্ছেদ হবে।

আমিন ইসলাম/এসআর/এএসএম