কালীগঞ্জে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বাস গর্তে, আহত ৩০

গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রাইভেটকার ও যাত্রীবাহী বাস মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপেক্ষ ৩০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুর আড়াইটায় উপজেলার শিমুলীয়া নামকস্থানে এ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানা পুলিশের পিএসআই মো. আশিকুজ্জামান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার শিমুলীয়া এলাকা দিয়ে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মোট্রা গ-১৭-০৫১২) টঙ্গীর দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে রং সাইড হয়ে বেপরোয়া গতির ভৈরবগামী বাদশা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-১০৪৫) একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাদশা পরিবহনের গাড়িটি উল্টে রাস্তার পাশে গর্তে পড়ে যায় এবং দুটি গাড়ির ৩০ জন যাত্রী আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঢামেক হাসপাতাল, টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠান।

তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ৫ জনকে ঘটনাস্থল থেকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ওই প্রাইভেটকার চালকও রয়েছে। প্রাইভেটকারের সামনের অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।     
 
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার মনিরা বেগম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় কমপ্লেক্সে মোট ১২ জন রোগী এসেছে। এদের মধ্যে বি-বাড়ীয়ার নবীনগর উপজেলার মারিয়া (১২) নামের এক শিশুর অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে গাজীপুর সদর থানা এলাকার পন্ডিত (৬৮) ও সালমাকে (৭০) কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে। এছাড়া বাকি ৯ রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

আহতরা হলেন, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রিয়াজ উদ্দিন (২৮), আমজাদ হোসেন (১৮), নজরুল ইসলাম (১৮), মাইনুদ্দিন (২৬), গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের প্রকাশ (১৮), একই উপজেলার জামালপুর গ্রামের মাসুম (১৮), কুমিল্লার গোপালপুরের রহিমা (৪০), নরসিংদী সদর থানার মুকুল (৩৫), রাইসুল (১০)। বাকিদের বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেওয়ার কারণে পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।    

কালীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রেকারে খবর দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

আব্দুর রহমান আরমান/ এমএএস/আরআইপি