ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মিঠুনের ছোট স্ত্রীর সন্তান হত্যার অভিযোগে বড় স্ত্রীর নামে মামলা

প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৫

জাতীয় ফুটবল দলের স্ট্রাইকার ও শেখ রাসেল জাতীয় ক্রীড়া সংসদের অধিনায়ক মিঠুন চৌধুরীর বড় স্ত্রী ও স্ত্রীর বড় বোনের বিরুদ্ধে গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এতে একজন ডাক্তারসহ ৭ জনকে সাক্ষী দেখানো হয়েছে।
 
আদালতের নির্দেশে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ শুক্রবার বিকেলে মামলাটি গ্রহণ করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন, মিঠুন চৌধুরীর বড় স্ত্রী রেশমা চৌধুরী তার বড় বোন আয়েশা বেগম।
 
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বড় স্ত্রী রেশমা চৌধুরীর সঙ্গে সংসার জীবনে সুখ শান্তি লাভে ব্যর্থ হয়ে ২০১৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর আমেনা আক্তার লিজা মাহিকে বিয়ে করেন ফুটবলার মিঠুন। এতে রেশমা ক্ষুদ্ধ হয়ে স্বামী মিঠুন ও সতিন আমেনা আক্তার লিজা মাহির বিরুদ্ধে যৌতুক আইনের ৪ ধারায় এবং নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মিঠুন ও লিজা পৃথক সময় আদালত থেকে জামিন নেয়। ৬ অক্টোবর দুপুর ১২টায় ওই মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে বাহির হলে রেশমা ও তার বড় বোন আয়েশা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে ৮ মাসের গর্ভবর্তী আমেনা আক্তার লিজাকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। এসময় পেটে লাঠি ও ব্যাগ দিয়ে আঘাত করলে আমেনা আক্তার লিজা মাহি মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারায়। পরে তাকে শহরের বঙ্গবন্ধু রোডস্থ ডা. লায়লা পারভীন বানু (মাধবী) কাছে নিয়ে গেলে তিনি প্রসবের মাধ্যমে মৃত শিশু জন্মদান করেন। ডাক্তার জানান আঘাতের কারণে গর্ভে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মিঠুন উভয় স্ত্রী নিয়ে ফতুল্লার ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় পৃথক বাসায় বসবাস করেন। সুস্থ হয়ে এ ঘটনায় প্রথমে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এবং মামলাও গ্রহণ করেনি। পরে আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেন। আদালত আমেনা আক্তার লিজা মাহির অভিযোগ আমলে নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলায় ডা. লায়লা পারভীন বানু মাধবীসহ ৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
 
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মামলা গ্রহণের সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে জানান, এ ব্যাপারে পুলিশের একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
 
শাহাদাত হোসেন/এমএএস/পিআর