হুমকির মুখে ১৮ রুটের যান চলাচল
পিরোজপুরের কঁচা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে টগড়া-চরখালী ফেরিঘাট এখন হুমকির মুখে। যেকোনো মুহূর্তে ফেরি চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এ পথে যাতায়াতকারী ১৮টি রুটের যান চলাচল।
পিরোজপুরের চারদিকে নদী থাকায় এ এলাকার মানুষ যাতায়াতের ক্ষেত্রে জেলার অন্যতম বৃহত কঁচা নামের এ নদের উপর দুটি ফেরি ব্যবহার করে থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম টগড়া-চরখালী ফেরিঘাট। আর এ পথে সুন্দরবন ও পাথরঘাটা মৎস্য বন্দরসহ জেলার এবং পার্শ্ববর্তী বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় প্রতিদিন যাতায়াত করে মৎস্যবাহী ট্রাকসহ শত শত যানবাহন।
সপ্তাহখানেক ধরে এ ঘাটের চরখালী প্রান্তে বেশ কয়েকটি বড় ফাটল দেখা দেয়ায় ফেরি কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এদিকে গত তিন মাসে ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়েছে চরখালী ঘাটের পার্শ্ববর্তী প্রায় ১০/১২টি দোকানঘর। তাছাড়া এখনই সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে যে কোন মুহূর্তে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে ১৮টি রুটের যান চলাচল।
এদিকে ভাঙনের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন ঘাটের ব্যবসায়ী ও পার্শ্ববর্তী বাড়িঘরের বাসিন্দারা। এ ঘাটের ব্যবসায়ী সোবাহান হাওলাদার জাগো নিউজকে জানান, ভাঙনরোধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই ঘাটের অধিকাংশ দোকানই নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
এ ঘাটের ইজারাদার আজমির হোসেন জাগো নিউজকে জানান, নদী ভাঙন রোধের পাশাপাশি অতিসত্বর ঘাট সংস্কার করা না হলে পন্টুন ও গ্যাংওয়ে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যেকোনো মুহূর্তে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তবে পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. ফখরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, তারা বিষয়টি অবগত আছেন। তবে পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে এখনই ঘাট মেরামত সম্ভব হচ্ছে না।
হাসান মামুন/এমজেড/পিআর