ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শিশু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

প্রকাশিত: ০৭:৪২ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

সিলেটে শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার বাদী ও নিহত শিশু সাঈদের বাবা আবদুল মতিনের সাক্ষ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হলো।

আজ আলোচিত এ মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার জন্য হাজির হয়েছেন বাদী ছাড়াও আরও চারজন। এরা হলেন- আশরাফুজ্জ্জামান আযম, আলিউর রহমান, শফিকুল ইসলাম আলখাছ ও ফিরোজ মিয়া।

এর আগে গত ১৭ নভেম্বর পুলিশের এক কনস্টেবলসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশীদ।

মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুুপুরে কারাগারে আটক থাকা ৪ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।

মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মহি হোসেন মাছুম এবং র্যাব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা।

সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের পিপি আব্দুল মালেক জাগো নিউজকে জানান, আজ বাদীসহ পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়ার কথা। দুপুর ১টার দিকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথমে সাক্ষ্য দিচ্ছেন মামলার বাদী আবদুল মতিন।

গত ২৯ অক্টোবর সিলেটের মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম চার্জশিট আমলে নিয়ে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নথিপত্র স্থানান্তর করেন।

এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর সিলেট মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ চৌধুরী। এর আগের দিন ২২ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসাইন এসি প্রসিকিউশনের কাছে মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) হস্তান্তর করেন।
 
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০ টায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝরনারপাড় সবুজ-৩৭ বাসার ছাদের চিলেকোঠা একটি ঘর থেকে আবু সাঈদের অর্ধগলিত মরদেহ সাতটি পলিথিনের বস্তার মধ্যে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল এবাদুর, পুলিশের সোর্স গেদা ও ওলামা লীগ নেতা রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর এই তিনজনই ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

নিহত আবু সাঈদ নগরের রায়নগর শাহমীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ও রায়নগর দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আব্দুল মতিনের ছেলে। মতিনের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার খাশিলা গ্রামে।
    
ছামির মাহমুদ/এসএস/আরআইপি