ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত বেদেরা

জেলা প্রতিনিধি | মুন্সিগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৯:৫২ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

‘জলে ভাসা পদ্ম আমি, পেলাম শুধু ছলনা’- কালজয়ী এই বাংলা গানের মতো মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজারের বেদে পল্লীর বেদেদের জীবন। তাদের আছে নাগরিক অধিকার কিন্তু নেই কোনো নাগরিক সুবিধা।

বেদে সম্প্রদায় বাংলাদেশের একটি যাযাবর জনগোষ্ঠী। আগে তারা নৌকায় করে বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী ভাবে অবস্থান করেলেও। বর্তমানে তার ভিন্ন চিত্র। প্রায় যুগের পর যুগ ধরে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে তাদের বসবাস। গ্রামে গ্রামে ঘুরে চুড়ি-ফিতা ফেরি করে বিক্রি আর নদীতে মাছ ধরে কোনো রকমে চলছে বেদে পল্লীর বেদেদের জীবন।

jagonews24

বেদে সম্প্রদায়ের জন্ম, বিয়ে এবং সকলের শেষ ঠিকানা যেখানে ওদেরও শেষ ঠিকানা সেখানে, মূলত স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় আটটি ইউনিয়নেই রয়েছে বেদেদের বসবাস। উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার ডাকবাংলোর পার্শ্ববর্তী ইছামতি নদীর তীর ঘেষে বেদে পল্লী বা বাইদ্যা পট্টি অবস্থিত। প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা এই পল্লীতে বসবাস করে চার শতাধিক বেদে।

jagonews24

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারা এই এলাকায় প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট প্রদান করে আসছেন। তবে তাদের ভোটাধিকার দেয়া হলেও দেয়া হয়নি কোনো নাগরিক সুবিধা।

বেদ পল্লীর সরদার আশরাফুল বলেন, আমাদের এই পল্লীতে চার শতাধিক মানুষের বসবাস। আমরা মালখানগর ইউনিয়নের ভোটার। আমাদের মধ্যে প্রায় ২৫০ জন এই এলাকার নাগরিক, তবে আমাদের ভাগ্যে মিলে না কোনো নাগরিক সুবিধা। নদীতে মাছ ধরে আর চুড়ি-ফিতা ফেরি করে কোনো মতে চলছে জীবন। আমাদের কপালে উপহারের ঘরও জুটল না। চেয়ারম্যান মেম্বর আসে ভোটের জন্য, ভোট শেষে আর কেউ খোঁজ নেয় না। আমাদের আবাসনের জন্য যদি একটি জায়গা দেয় সরকার তাহলে নৌকার ভাসমান জীবন থেকে মুক্ত হবো আমরা’।

jagonews24

এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, 'আমরা বেদেদের ব্যাপারে আন্তরিক। এই উপজেলাতে ৩০৪ জন ভূমিহীন পরিবার রয়েছে। সকলে এখনো ঘর পায়নি। আমরা প্রথম পর্যায়ে ২৫ ভূমিহীন পরিবারের মাঝে এই ঘর দিতে পেরেছি। পর্যায়ক্রমে সকলকে ঘর দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো’।

এসএমএম/জেআইএম