গৃহবধূ শারমিন হত্যার বিচারের দাবি স্বজনদের
চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে গৃহবধূ শারমিন আক্তারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) চাঁদপুর-রায়পুর সড়কে গৃদকালিন্দীয়া বাজারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে নারী-পুরুষসহ এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে বিচারের দাবি করেন।
এ সময় নিহতের বাবা মানিক পাটোয়ারী ও স্থানীয়রাদাবি করেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন। শারমিন কখনোই আত্মহত্যা করতে পারেন না।
মানববন্ধনে শারমিনের বাবা মানিক পাটওয়ারী বলেন, বিয়েতে মেয়েকে স্বর্ণালংকার ছাড়াও প্রায় ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র দিয়েছেন। বছর খানেকপর তাদের ঘর আলোকিত করে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। নাতিকে খুশি করার নামে যৌতুকের জন্য মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে জামাই মহিন হোসেনসহ তার পরিবারের লোকজন। মেয়ের সুখের জন্য ধারদেনা করে নাতিকে স্বর্ণের চেইন ক্রয় করে দেন। কিছুদিন পর পুনরায় বিভিন্ন অজুহাতে শারমিনের ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়।
স্বামীর সঙ্গে নির্যাতনে যুক্ত হন তার বাবা দেলোয়ার হোসেন, মা রেনু বেগম, বোন মর্জিনা ও রিমা। মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন থেকে রেহাই দিতে আমি বিভিন্ন সময় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাদের হাতে-পায়ে ধরে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা আমার অনুরোধ রাখেননি। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মেয়েকে আবারও শারীরিক নির্যাতন করে তাকে হত্যা করে।
নিহতের চাচাতো বোন নিলিমা আহমেদ তিশা জানান, যৌতুকের জন্য গত ডিসেম্বর মাসে আমার বোনকে তারা শারীরিক নির্যাতনের কারণে তাকে দুইদিন হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছিলো। এলাকার মেম্বার ভুট্টু এবিষয় নিয়ে কয়েকদফা সালিশ বৈঠক করেছেন। এছাড়াও আমার চাচা বুঝে উঠার আগেই ওনার সাক্ষর নিয়ে এখন বলা হচ্ছে আমার চাচা (মানিক পাটোয়ারী) আত্মহত্যা নিশ্চিত করেছেন। আমরা এই পরিকল্পিত হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে সেখানে তাদের মামলা নেওয়া হয়নি।
গত চার বছর আগে রুপসা ইউনিয়নের গাব্দেরগাও মুলাম বাড়ির সৌদি প্রবাসী মাইনুদ্দিনের সাথে শারমিন আক্তার পালিয়ে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে মাহিন নামের আড়াই বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বিয়েটি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেনে নিতে পারেনি।
নজরুল ইসলাম আতিক/আরএইচ/এমকেএইচ