ধর্ষণ মামলা করে ঘরছাড়া কিশোরী
মোংলায় ধর্ষণ মামলা করে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এক কিশোরী।
জানা গেছে, মোংলার চিলা ইউনিয়নের উত্তর হলদিবুনিয়া গ্রামের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ড. জুলিয়ান বৈরাগীর ছেলে সুবির বৈরাগীর সঙ্গে ওই কিশোরীর (১৭) আগে থেকেই পরিচয়। মুসলিম ধর্ম ভালো লাগার কথা বলে প্রায়ই কিশোরীর বাড়ি আসা-যাওয়া করতো সুবির। এক পর্যায়ে সুবিরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সুবির বৈরাগী মুসলিম হয়ে বিয়ে করবে প্রলোভন দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করছিল। এছাড়া ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করা হয়েছে বলে ভয়ও দেখাতো। গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে জরুরি কাজের কথা বলে কিশোরীকে বাসায় ডেকে ধর্ষণ করে সুবির। বিষয়টি সুবিরের বড় ভাই সোহাগ ও মা স্বপ্না বৈরাগীর কাছে জানালে তারা কিশোরীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
পরে ওইদিন রাতে কিশোরী মোংলা থানায় অভিযোগ করলে স্থানীয় রাজীব বৈরাগীর সহায়তায় মিজান মোল্লা, জিম হালদার, জেবিয়ার বৈরাগী, অনুজ হালদার, দিলিপসহ প্রভাশালীরা ঘটনা স্থানীয়ভাবে সমাধানের আশ্বাস এবং কিশোরীকে দুশ্চরিত্র অপবাদ দিয়ে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে ১২ সেপ্টম্বর ওই কিশোরী থানায় তিনজনের নামে ধর্ষণ মামলা করেন। তবে মামলার চার মাস পার হলেও আসামিদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
এদিকে, মামলা তুলে না নিলে আসামি ও সহযোগীরা এসিড দিয়ে কিশোরীর চেহারা ঝলছে দেয়ারও হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া মামলার ২নং আসামি সোহাগ বৈরাগী খুলনার একটি হাসপাতালে চাকরির কারণে ধর্ষণের আলামত ও ডাক্তারি রিপোর্ট পাল্টে দেয়া ও মামলা মিটিয়ে নেয়ার ভয় দেখাচ্ছে।
এ বিষয়ে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এরশাদ হোসেন রনি/এএইচ /জিকেএস