পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই
ভোলার লালমোহনের মঙ্গলসিকদার এলাকায় সড়ক অবরোধ, বেড়িক্যাট ও পুলিশের ওপর হামলা ও ঘেরাও করে বনের গাছকাটা মামলার দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে এলাকার কয়েক`শ বিক্ষুব্ধ মানুষ। এদের সঙ্গে যোগ দেয় সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর এমন ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আসামি ছেড়ে দেয়ার পর পুলিশের দুই এএসআই ও দুই কনস্টেবল কোনো রকমে প্রাণ রক্ষা করে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। তবে বিক্ষুব্ধ জনতা দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধ করে রাখে।
আটক মিজান ও নুরন্নবী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোতালেব মিয়ার পুত্র। মিজান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি। ছয়মাস আগে নদীর ভাঙনকবলিত এলাকার বন বিভাগের নিয়ন্ত্রিত একটি গাছকাটা মামলায় এদের আসামি করা হয়। ওই মামলায় তাদের আটক করে পুলিশ। এ সময় এদের বেঁধে গাড়িতে তোলায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে লালমোহন থানার ওসিকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকী স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছেও কোনো তথ্য জানাননি।
তবে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, পুলিশ দুই আসামিকে নিয়ে আসার সময় এলাকার কয়েক`শ মানুষ তাদের ঘেরাও করলে বাধ্য হয়ে ওই দুই আসামিকে ছেড়ে দিয়ে পুলিশ থানায় চলে আসে। পুলিশ তেমন কোনো আহত হননি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, লালমোহন থানার এএসআই মাহাতাব, এএসআই মিঠুন ও দুই কনস্টেবলসহ চার পুলিশ মঙ্গলসিকদার এলাকায় গিয়ে সন্ধ্যায় মিজান ও নুরন্নবীকে আটক করে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু জানান, তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে শুনেছেন ছয়মাস আগে নদীর পাড়ের একটি গাছ এক শ্রমিক কাটে। ওই গাছকাটা মামলায় মিজান ও নুরুন্নবীকে আসামি করে বনবিভাগের স্টাফরা।
অমিতাভ অপু/বিএ