ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সারিয়াকান্দিতে এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়!

প্রকাশিত: ১০:৪৫ এএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৫

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চলতি এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে এক হাজার ৪শ ১৫ টাকা ফি নির্ধারণ করলেও অনেক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা মানছেন না। নানা অজুহাতে বাধ্যতামূলক এসব টাকা আদায় করা হচ্ছে।

এদিকে সোমবার উপজেলার ফুলবাড়ী গমির উদ্দিন বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে ওই বিদ্যালয়ের পরিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে স্মারকলিপি প্রদান করে।

এই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী হাবিবুর রহমান, তারেক, কাফিল, সৈকত, মাইনুর জানান, বোর্ডের নির্ধারিত ফি এক হাজার ৪১৫ টাকা হলেও মানবিক বিভাগে তিন হাজার ৫শ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগে তিন হাজার ৫৯০ টাকা করে আদায় করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ফুলবাড়ি গমির উদ্দিন ছাড়াও অতিরিক্ত ফি আদায়ের তালিকায় আরো রয়েছে কুপতলা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়, সারিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। সেখানেও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণের নামে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা করে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে। কেন্দ্র-ফি, কোচিং-ফি, তিন মাসের বেতনসহ বিভিন্ন ফি যোগ করা হয়েছে প্রতিজনের কাছে।

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী গমির উদ্দিন বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোকছেদুল আলম জাগো নিউজকে জানান, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কিছু বাড়তি ফি নেয়া হচ্ছে। এই টাকার মধ্যে থেকে পরীক্ষার্থীদের  কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

কুপতলা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবদুল হালিম ও সদস্য সচিব মোকছেদুল আলমের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্কুলের ফরম ফিলাপের ফি তিন হাজার ৮শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সারিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবদুল হালিম বলেন, নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সব কিছু মিলিয়ে আগে বেশি থাকলে এখন ২ হাজার ৮শ টাকা ফি নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার কারণে বেশি নেয়ার সুযোগ নেই।

সারিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমীন জাগো নিউজকে জানান, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বগুড়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র সরকার জাগো নিউজকে জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

লিমন বাসার/এমজেড/আরআইপি