ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শেরপুরে বিধবাপল্লীতে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন

প্রকাশিত: ১২:৩৪ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০১৪

কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর বিধবা পল্লীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে বিধবাপল্লীতে নিরাপত্তার জন্য কাকারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধে আলবদর কমান্ডার কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় আপিল আদালতে বহাল থাকায় কয়েকদিন ধরেই নিরাপত্তহীনতায় ভুগতে থাকে শহীদ পরিবারের বিধবারা। তাই বিধবা ও শহীদ পরিবারগুলোর নিরাপত্তা জোড়দার করতে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।  

সোহাগপুর শহীদ পরিবার বিধবা কল্যাণ সমিতির সাধারন সম্পাদক জালাল উদ্দিন বলেন, ‘শত্রুর তো শেষ নাই। ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার পর থাইকা স্থানীয় কিছু লোকজন বিধবা ও মহীদ পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় বহাল থাহুনে অনেকেই বিধাবপল্লিতে আসা যাওয়া করে। এতে আমরা ও বিধবারা কিছুডা ভয়ভীতির মধ্যে আছি। পুলিশ ক্যাম্প হওয়ায় বিধবা ও শহীদ পরিবারের মধ্যে কিছুডা স্বস্তি ফিইরা আইছে।’

শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. শাহজাহান বলেন, বিধবাদেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অস্থায়ীভাবে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।

একাত্তরের ২৫ জুলাই সোহাগপুর গ্রামে আলবদর-রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই সোহাগপুর গ্রামের ১৮৭ জন পুরুষ মানুষকে হত্যার পর গ্রামটির নামই পাল্টে হয়ে যায় বিধবাপল্লী। সেদিন যে ৫৭ জন বিধবা হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ৩১ জন বিধবা এখনও বেঁচে আছেন। তাঁদের মধ্যে তিন বিধবা ও একজন শহীদ পরিবারে সন্তান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আলবদর কমান্ডার জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুহম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সেই সোহাগপুরের গণহত্যার ঘটনায় কামারুজ্জামানের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়।